25.9 C
Dhaka
Friday, August 22, 2025

লিড নিউজ

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন ধানের চারা বিক্রির ব্যস্ততা, কৃষকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

আরও পড়ুন

জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন ধানের চারা বিক্রি ও রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা, প্রচুর বৃষ্টির ফলে উচ্ছ্বাস।

সিরাজগঞ্জে এই মৌসুমে রোপা আমন ধানের চারা বিক্রির ধুম পড়েছে। চলতি বছর প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে জমিতে আমন ধানের আবাদ শুরু করতে পেরে কৃষকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। স্থানীয় হাট-বাজারে ধানের চারা কেনাবেচায় ব্যস্ততা লক্ষ করা যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ ছোনগাছা হাটে এক পণ ধানের চারা আড়াই থেকে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মুঠো চারার জন্য তিন থেকে পোনে চার টাকায় পড়ছে। এ চারা ব্যবসায়ীদের হাত ধরে নিজস্ব চারা না থাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রোপা আমন মৌসুমে উপজেলায় ১১,৫৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছোনগাছা, বাগবাটি, পাঙ্গাসি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা জমিতে ধান চারা রোপণ শুরু করেছেন। অনেক এলাকায় সেচ মেশিনের সাহায্যে জমিতে পানি সেচ দিয়ে হালচাষ ও মই টেনে জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। জয়নগর গ্রামের মাঠে পাওয়ার টিলার দিয়ে হালচাষ করতে দেখা গেছে।

বেশিরভাগ কৃষক নিজস্ব বীজতলার চারা জমিতে রোপণ করছেন। যাদের নিজস্ব চারা নেই, তারা হাট-বাজার থেকে পছন্দের ধান চারা কিনে জমিতে রোপণ করছেন। ছোনগাছা বাজারে চলতি বছরও ব্যবসায়ীরা রোপা আমন ধানের চারা বিক্রি করছেন।

হাফিজুল নামে একজন ব্যবসায়ী জানান, তিনি গুটি স্বর্ণা, স্বর্ণা ২৯, ৩৯, ৪৯ সহ আরও নানা জাতের ধান চারা বিক্রি করছেন। আরেক ব্যবসায়ী জসিম জানান, তাড়াশের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা তাদের বীজতলা থেকে চারা তুলে এনে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন।

মোস্তাক নামে এক ব্যবসায়ী জানান, এক পণ (আশি মুঠো) চারা এখন আড়াইশো থেকে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের কাছে গুটি স্বর্ণা ও স্বর্ণা-৫ জাতের ধান চারার চাহিদা বেশি।

সিরাজগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে এক হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চারা লাগানো হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে রোপা আমন ধানের আবাদে কৃষি প্রণোদনায় ৪০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

রোপা আমন ধানের এই চারা রোপণের মৌসুমে সিরাজগঞ্জের কৃষকরা বিশেষভাবে উদ্দীপিত। প্রচুর বৃষ্টিপাতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারের ফলন ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টা এবং কৃষকদের উদ্যোগে এই মৌসুমে রোপা আমন ধানের আবাদ সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষকদের পরিশ্রম এবং সরকারের প্রণোদনা এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর