কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্য সংকট তীব্র হওয়ায় চিলমারী-রৌমারী ফেরি রুটে টানা ১০ দিন ধরে চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে পণ্যবাহী যানবাহনসহ দূরপাল্লার পরিবহনগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, নদীর তলদেশে নাব্য কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলের চ্যানেল অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কয়েক ধাপে খননকাজ শুরু করলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে ড্রেজিং বন্ধ রয়েছে।
নদীপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাড়ঘেঁষে ড্রেজিং করায় ডানতীর সুরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ব্লক দেবে গেছে। এতে নদী ভাঙনের আতঙ্ক আরও বাড়ছে। তারা দাবি করেন, দূরত্ব বজায় রেখে খনন করলে এ ধরনের সমস্যা হতো না।
স্থানীয়রা—মমিন, সাইফুল ইসলাম, রাবেয়া ও অহিতন বেগম জানান, ভুলপদ্ধতিতে খনন করায় তীররক্ষা কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বলেন, নদী খনন দরকার, তবে সেটি যেন জনবসতির ক্ষতি ডেকে না আনে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান জানান, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর কমে যাওয়ায় নিয়মিতভাবে নদ খনন জরুরি হয়। কিন্তু কয়েকটি পয়েন্টে বাধার কারণে কাজ বন্ধ। মঙ্গলবার রাতে বাগুয়ার চর এলাকার বাসিন্দারা ট্রলারযোগে এসে ড্রেজিং বন্ধ করে দেন। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ১৭ নভেম্বর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প রুট খননের কাজ চলছে, শেষ হলেই ফেরি চালু হবে।
চিলমারী পোর্ট অফিসার পুতুল চন্দ্র বলেন, স্থানীয়দের আশঙ্কা পুরোপুরি সত্য না-ও হতে পারে। তবে যদি তীররক্ষা কাঠামোর ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
