চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির শাহনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের সাথে পরিচালনা কমিটির সভাপতির দুর্ব্যবহার, অতঃপর অধ্যক্ষের মৃত্যু। এ বিষয়ে বিষদ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক।
উদ্বেগের সাথে লক্ষ্যণীয় কতিপয় অযোগ্য, অদক্ষ লোক শুধু টাকার জোরে কতিপয়কে ম্যানেজ করে স্কুল, কলেজের সভাপতি সেজে সম্মানিত শিক্ষকদের স্যার (কোন শিক্ষক টাকার জোরে চেয়ারে বসা কাউকে স্যার সম্বোধন করাটা আমার দৃষ্টিতে বেমানান। এ গোত্রীয়দের ষাঁড় বলাই শ্রেয়। তবে ভাল মানুষদের নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। যারা সভাপতি হয়েও ভাব দেখান না।) সেজে যান। যারা প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের সাথে তাদের গার্মেন্টসের শ্রমিকের মতো ব্যবহার করেন।
শাহনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি কোন যোগ্যতায় সভাপতি হয়েছেন তা খতিয়ে দেখা সময়ের দাবি।
অধ্যক্ষের মৃত্যুর সাথে তাঁর বিন্দুমাত্র সংশ্লেষ থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
গত বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষকে শাসিয়ে বক্তব্য দেয়া কন্ট্রাক্টর শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক। সে কেন বক্তব্যে এত ঔদ্ধত্য দেখালো।
অধ্যক্ষ যদি কোন অনিয়মে জড়িত থাকতেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে। তাদের পাশ কাটিয়ে কেন তাঁকে নির্যাতন করা হলো? কোন সভাপতি বা কোন গ্রাম্য টাউটকে শিক্ষক নির্যাতনের ক্ষমতা কেউ দেয়নি।
শাহনগর স্কুলের অধ্যক্ষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কারণে তাঁর উপর নির্যাতনের ঘটনাটি সামনে এসেছে। সারাদেশে অনেক সম্মানিত শিক্ষক এ ধরণের অযোগ্যদের নির্যাতনে নিষ্পেষিত হচ্ছেন।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর কাছে অনুরোধ সত্যিকারের শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে পরিচালনা কমিটি করুন। যারা শিক্ষকদের সম্মান করবেন। আপনারা যারা শিক্ষা বোর্ড চালান তারাও তো শিক্ষক। নিজেদের মান নিজেরা বাঁচাতে সচেষ্ট হোন। আমার বাবা এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। আবার আমার বাবার ছাত্র ছিলেন এই এলাকার আলোকিত সন্তান দু’বারের সাংসদ এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মরহুম নুরুল আলম চৌধুরী।
লেখক ::
মহসিন কাজী, যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট