30 C
Dhaka
Sunday, May 19, 2024
More

    মুসলিম রীতিতেই বৃষ্টির দাফন হবে

    আরও পড়ুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক ::

    ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় দুই সপ্তাহ পরে ঢাকার বেইলি রোডের আগুনে মারা যাওয়া নারী সাংবাদিকের আসল পরিচয় জানার পর তার লাশ দাফনের প্রতিবন্ধকতা সরে গেছে। ডিএনএ পরীক্ষায় বাবা মায়ের সাথে বৃষ্টির ডিএনএ মিলে যায়।

    রোববার রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, সাংবাদিক মহলে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসাবে পরিচিত হলেও ওই নারী সাংবাদিকের প্রকৃত নাম বৃষ্টি খাতুন। কুষ্টিয়ায় জন্ম নেয়া বৃষ্টি খাতুনের বাবা সাবলুল আলম এবং মা বিউটি খানম। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মরদেহ পাওয়া গেলে গ্রামের বাড়িতে কবরস্থানে মুসলিম রীতিতেই দাফন করা হবে।

    তাদের দাবি, এক শ্রেণির অসাধু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে। দাফন নিয়ে বিতর্কিত কথা ছড়িয়েছে। অথচ গ্রামের মানুষ মরদেহ দাফন করতে কোন বাধা দেবে না, তারা সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

    সোমবার দুপুরে সরেজমিনে বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির বাড়িতে দেখা যায়, সেখানে বৃষ্টির মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছে পরিবারের সবাই। থমথমে পরিস্থিতি, সুনশান নীরবতা। কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ।

    খাতুনের বাবা সাবলুল আলম জানিয়েছেন, মরদেহ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে জানানো হবে।

    বৃষ্টির চাচা জোয়াদ আলী জানান, সবুজের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। বৃষ্টির মরদেহ পাওয়া গেলেই সে জানাবে। আমরা মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করব। গ্রামের কবরস্থানেই মুসলিম রীতিতে দাফন করা হবে।

    বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মজিদ বলেন, বৃষ্টির লাশ দাফনের বিষয়ে কেউই বাধা দেওয়া বা দ্বিমত করেনি। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্টা-পাল্টা কথা ছড়িয়েছে। মরদেহ পাওয়া গেলে গ্রামেই দাফন করা হবে।

    বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বৃষ্টির বাবা সবুজের সঙ্গে কথা হয়েছে সোমবার যে কোন সময় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। মরদেহ দাফনসহ অন্য কিছুতেই কোন বাধা নেই।

    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ বলেন, বৃষ্টির লাশ পাওয়া গেলে বাধাহীন ভাবে মুসলিম বিধান মাফিক গ্রামে লাশ দাফন করা হবে। মৃতদেহটি গ্রামে পৌঁছানোর আগে তিনি নিজেই গ্রামে যাবেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি বৃষ্টি মুসলমানের মেয়ে। এখন আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মৃতদেহ ফেরত পাওয়া লাগবে। নিহতের বাবা সবুজ আদালতে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাদের দিক থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তার মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হয়।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর