30 C
Dhaka
Sunday, May 19, 2024
More

    ‘যেখানেই সাংবাদিক দেখব সেখানেই পেটানো হবে’

    আরও পড়ুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক :::

    ‘যেখানেই সাংবাদিক দেখব সেখানেই পেটানো হবে’ ঘোষণা দিয়েছেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার সাবেক সাংসদ জাফর আলম। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টায় থানা মসজিদের সামনে প্রকাশ্যে এই হুমকি দেন। এ ব্যাপারে মধ্যরাতে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতিদিনের বাংলাদেশ ও পূর্বকোণের চকরিয়া প্রতিবেদক এম জাহেদ চৌধুরী।

    কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাফর আলম এমএর উপস্থিতিতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানোর সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে এমন হুমকি দেন। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন চকরিয়া প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ।

    তিনি জাতীয় দৈনিক মানবজমিন ও কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইনানীতে কর্মরত। হামলার একপর্যায়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তার দুটি মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে হামলাকারীরা। আহত সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

    মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২টায় চকরিয়া থানা সেন্টার এলাকায় বাদল মুন্সির চেম্বারে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী ও অপারেশন অফিসার রাজিব চন্দ্র সরকারসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ব্যাপারে ভিকটিম লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় সন্ধ্যায় প্রতিবাদ সভার ডাক দেন চকরিয়া প্রেস ক্লাবের নেতারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম মিজবাউল হকের নেতৃত্বে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি নিশ্চিত করেছেন সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ।

    আহত সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ মুঠোফোনে দাবি করেন, ঘটনার আগে থেকে তিনি চকরিয়া থানার অদূরে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় একপর্যায়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ-সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক এমপির নির্দেশেই তার ওপর হামলা করে বলে দাবি করেন তিনি।

    সূত্র মতে, গেল জাতীয় সাংসদ নির্বাচন থেকে মোহাম্মদ উল্লাহ সাবেক এমপি জাফর আলমের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে জাফর আলমসহ তার অনুসারীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তার রেশ ধরে এই হামলা হয় বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের দাবি।

    এ বিষয় সাবেক এমপি জাফর আলমের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

    এদিকে মোহাম্মদ উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় একইদিন সন্ধ্যায় চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভা হয়েছে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে। সভায় হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

    এতে বত্তৃদ্ধতা করেন, সিনিয়র সাংবাদিক বশির আল মামুন, ক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ, সহসভাপতি মুকুল কান্তি দাশ, অর্থ সম্পাদক জহিরুল আলম সাগর, জিয়াবুল হক, ইউসুফ বিন হোসাইন, রাজু দাশ, এম নুরুদ্দোজা, আরাফাত হোসাইন, নিজাম উদ্দিন, রুহুল কাদের, নুরুল আমিন টিপু, কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর