স্বপন রবি দাস,জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বেতন,ফরম ফিলাপ,কলেজের আইডি কার্ডসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার প্রতিবাদে বুধবার (১৭এপ্রিল) সকালে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ কমিটির সভাপতি মনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু মেহের পনির নেতৃত্বে কলেজ ভবনে মানববন্ধন করেছেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে বিপাকে পড়েছেন অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ মো: ফজলুর রহমামের যোগসাজসে এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
জানা যায় যে, নবীগঞ্জ সরকারি কলেযে তিনটি শাখা রয়েছে।বিজ্ঞান বিভাগ,ব্যবসায়ী বিভাগ, বিএম বিভাগ মোট ৪০০জন এবং মানবিক বিভাগ ৮০০জন।এখানে এইচএসসি ২য় বর্ষের সর্বমোট ১২০০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এইচএসসি ২য় বর্ষের প্রত্যকের শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ২০০টাকা করে মোট ২লাখ ৪০ হাজার টাকা কলেজ আইডি কার্ডবাবদ আদায় করা হয়েছে। কিন্তুু পরীক্ষার আর মাত্র একমাস বাকি এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজ আইডি কার্ড হাতে পান নি। নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের কোচিং ও উন্নয়ন ফিসহ বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার ৮৫টাকা, মানবিক বিভাগে ৮ হাজার ৭৫টাকা, ব্যবসায় বিভাগ ৮হাজার ৭৫টাকা,বিএম বিভাগে ৫ হাজার ৬২৫টাকা মোট ৪টি বিভাগের এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ভুক্তভোগীরা হলেন, শ্যামলী আক্তার, দীপু, জীবন,রাজ্জাক, তারা অতিরিক্ত অর্থ দিতে না পারায় তারা ফরম ফিলাপ করতে অক্ষম।এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে গলাকাটা অর্থ আদায় করছেন কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ মো: ফজলুর রহমান। এছাড়া ২-৩জন শিক্ষক এর সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়।
তারা বোর্ডের কোনো নির্দেশনা না মেনে নিজেদের নিয়মে বেতন, পরীক্ষার ফি, ফরম ফিলাপ ও কলেজ আইডি কার্ড এর জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন। শিক্ষার্থীরা জানায় কোচিং ও উন্নয়ন ফি বাবদ মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায়ের ফলে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিপাকে পড়েছেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা কলেজ ভবননে তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য দাবি উত্তাপন করেছেন। নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ মো: ফজলুর রহমান যোগদানের পর থেকে ৩-৪ টি ব্যাংকে পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে একাউন্ট করা হয়েছে। এর আগে মো: সফর আলী থাকতে এভাবে হয় নাই। সব মিলিয়ে মোট ৯৬ লক্ষ টাকা উঠলেও এই টাকার কোনো হদিস মিলে নেই। এই ৯৬ লক্ষ টাকার হিসাব কোথায় গেল ? নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ ভবনে তিন দফা দাবি জানান কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ মো: ফজলুর রহমান অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে বলেন, ‘ কোচিং ও উন্নয়ন ফি বাবাদ আমরা বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার ৮৫টাকা, মানবিক বিভাগে ৮ হাজার ৭৫টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ৮হাজার ৭৫ টাকা,বিএম বিভাগে ৫হাজার ৬২৫টাকা মোট ৪টি বিভাগের এই টাকা নেওয়া হয়েছে।এবং শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকায় আমাদের কলেজের শিক্ষকদের মাসিক বেতন দিয়ে থাকি। আমাদের কলেজ সরকারি হলেও সরকারি ভাবে আমরা কোনো ধরনের বেতন পাচ্ছি না।আমাদের কলেজ নতুন স্কলে সরকারিকরণ করা হলে ওসরকারি ভাবে আমরা কোনো বেতন পাচ্ছি না।’