30 C
Dhaka
Sunday, May 19, 2024
More

    কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে শুরু ‘বিজু উৎসব’

    আরও পড়ুন

    ::: রাঙামাটি প্রতিনিধি :::

    দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে বাংলার পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে রাঙামাটির পাহাড়ি জনগোষ্ঠী।

    বুধবার সকালে খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথি থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে বিজুর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এদিন ভোর থেকেই রাঙামাটি রাজবন বিহার ঘাট,গর্জনতলী,ডিসি বাংলো,কেরানি পাহাড় এলাকা,পলওয়েল, আসামবস্তিসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় নানা বয়সের নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে কলাপাতায় ফুল ভাসান।

    পুরোনো বছরের সব দুঃখ, কষ্ট ও গ্লানি দূর করে নতুন বছর যাতে সুখ-শান্তিতে কাটানো যায়, সে উদ্দেশ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসানো হয়। এছাড়া ফুল সংগ্রহ করে সাজানো হয় বাড়ির আঙিনা। সন্ধ্যায় বৌদ্ধমন্দির, নদীর ঘাটে ও বাড়িতে জ্বালানো হয় প্রদীপ। যুগ যুগ ধরে এই উৎসব উদযাপন করে আসছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী।

    চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু—, এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করে এই উৎসব।

    উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করেন এবং পবিত্র ফুল ভাসিয়ে দেন পানিতে। তাই একে বলা হয় ফুল বিজু। পানিতে ফুল ভাসিয়ে বিশ্ব শান্তির মঙ্গল কামনায় গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়।

    এদিকে বুধবার সকালে কেরানি পাহাড় এলাকায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে ফুল বিজুর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রনেল চাকমাসহ প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আজকের এই ফুল বিজুর দিনে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম দিয়ে বয়ে চলা চেংগী, মেইনি, কাচালং, কর্ণফুলীসহ পাহাড় থেকে নেমে আসা ছড়াগুলোতে ফুল ভাসান পাহাড়িরা। বৃহস্পতিবার বিজু উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু। এই দিনে বাড়িতে বাড়িতে রান্না করা হয় পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘পাজন’।
    এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের খাবার আগত অতিথের পরিবেশন করা হয়। উৎসবের তৃতীয় দিন হচ্ছে গজ্যাপজ্যা বিজু বা নববর্ষ উৎসব। ওই দিনে বিশ্ব শান্তির কামনায় মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করা হয়।

    এইবাংলা /তুহিন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর