নবীনগর (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক হারে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন নিকটস্থ হাসপাতালে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো ধরনের বৈধতা না থাকলেও একাধিক ইটভাটা অবাধে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে হাবিব ও শাপলা ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কয়লার দাম বেশি হওয়ায় প্রভাবশালী ইটভাটা মালিক অলেক মিয়া কাঠকেই জ্বালানির প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করছেন। ইতোমধ্যে হাজার হাজার মন কাঠ-খড়ি মজুদ করা হয়েছে, এবং সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, এসব ভাটা বন উজাড় করা ছাড়াও পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি করছে। তারা দ্রুত এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ চান।
পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জানান, যেসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর তালিকা জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বৈধ-অবৈধ প্রায় সব ইটভাটায় কাঠ ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এসব ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী বলেন, “পরিবেশ সনদ ছাড়া কোনো ইটভাটায় আগুন জ্বালানোর সুযোগ নেই। দ্রুত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই বাংলা/এমএস
টপিক
