রবিউল ইসলাম, চিলাহাটি
নীলফামারীর চিলাহাটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রর স্বেচ্ছাচারিতায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এ চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার কখন আসেন, কখন চলে যায় তার কোন নিয়ম নীতি নেই। এসব অনিয়মের অভিযোগ করতে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্ত্রীকে দিয়ে অভিযোগকারীদের মিথ্যা চাঁদাবাজসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
চিকিৎসা সেবায় স্বেচ্ছাচারিতা ও চিকিৎসকের হিংস্র মনোভাবের প্রতিবাদী চিলাহাটি আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রস্তাবনা পরিষদ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এলাকার অসহায় দুষ্টু, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য সরকার নীলফামারী জেলার সীমান্তবতী ৬০ হাজার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চিলাহাটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট কল্যান কেন্দ্রটি চালু করে। ভবন নির্মাণের পর চিলাহাটি আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রস্তাবনা পরিষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একজন এস এ সি এম ও এবং চারজন সেবিকা দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম চালু করেন। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি চালুর দিন থেকে এস এ সি এম ও আব্দুল আজিজ সরকারি সময় ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার মনগড়া সময় নিয়ে চলাফেরা করেন। তার এই উদাসীন মনোভাবে সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে হিংস্র ব্যবহার করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেবাকারীরা তার এই অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে দীর্ঘদিন থেকে এ সেবা কেন্দ্র থেকে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না এলাকার মানুষ।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আব্দুল আজিজ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে না আসার বিষয়টি ডোমার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে অবগত করা হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনই সাড়ে ১১ টায় আব্দুল আজিজ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী বেলী বেগমকে লেলিয়ে দিয়ে চিলাহাটি বাজারে আহাদ মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে প্রতিবাদকারী প্রস্তাবনা পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা চাঁদাবাজিসহ অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। আব্দুল আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী’র এই কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে। ইতিপূর্বে তার এই অপকর্মের দায় পেয়ে অন্যান্যরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে ভিতরে টেলিভিশন দেখার ব্যস্ত থাকায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর গেটের বাইরে রাস্তায় প্রকাশ্য এক গৃহবধূ সন্তান প্রসব করে।
ডোমার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ড. মিনহাজুল আলম শাওন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বাংলাআ/এমপি