নিজস্ব প্রতিবেদক :::
চট্টগ্রামে প্রতিবাদী গান-কবিতা ও নাটকের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে অগ্নিবীণা পাঠাগার।
শুক্রবার (০৩ মে) বিকেল চারটায় নগরীর কাজীর দেউরি আউটার স্টেডিয়ামস্থ মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ ‘মুক্তির গান মুক্তির লড়াই’ এর আয়োজন করে সংগঠনটি। কয়েকশ নগরবাসীর উপস্থিতিতে এসময় প্রতিবাদী নাটক গান ও কবিতা পরিবেশন করে সংগঠনের কর্মীরা।
আয়োজন থেকে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নাটকে উঠে আসে হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের মানুষের নিদারুণ কষ্টের চিত্র। যা দেখে উপস্থিত মানুষ আপ্লুত হন।
এসময় অগ্নিবীণা পাঠাগারের সংগঠকরা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের এমন অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষগুলো এক হয়েছে। লাখো শিশু ও নারীর নির্বিচারে প্রাণহানি দেখে মানুষের চোখ থেকে প্রতিনিয়ত অশ্রু ঝড়ছে। মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনে গণহত্যা থামছে না। ঈদের দিনসহ সারা বছরজুড়ে তাদের উপর আক্রমণ চলতে থাকে। ইসরায়েলের এমন দখলদারি ও গণহত্যার প্রতিবাদেই এই আয়োজন।
অগ্নিবীণা পাঠাগারের সভাপতি সৌরভ চৌধুরী বলেন, ইসরায়েলিদের এই নির্মম গণহত্যার জন্য আমাদের এই ছোট আয়োজন হয়ত তেমন কিছু না। তবে আমরা জানান দিতে চাই, আমরা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে আছি। আমরা সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের মাধ্যমে নগরবাসী ও দেশের মানুষের মাঝে ফিলিস্তিনের দূরবস্থার কথা তুলে ধরতে চেয়েছি। আমরা চাই ধর্ম জাতি বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ হয়ে মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়াক। মানবতা ও নিপীড়িতের পক্ষে থাকুক এবং আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলুক।
অগ্নিবীণা পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সানি চৌধুরী ও সংগঠক কামরুল ইসলাম এই সময় সংগঠনের পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এই আয়োজনে অংশগ্রহন করেন।
শান্তি, মানবতা এবং ন্যায়বিচারের জন্য সচেতনতা গড়ে তোলা এবং দেশের মানুষকে আদর্শগতভাবে একত্রিত করে বিপদগ্রস্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য সহমর্মিতা জাগিয়ে তুলতে এই ধরনের আয়োজনের ভূমিকা অপরিসীম বলে বিশ্বাস করে অগ্নিবীণা পাঠাগার।