দীপক কুমার সরকার:
বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর-ধুনট সড়কে মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে পাঁচটি ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য পুলিশের টহল জোরদার না থাকাকে দায়ী করছেন।
পরপর ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনা
- ১২ আগস্ট: রাত ১টার দিকে শালফা কলেজপাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রূপমের পথরোধ করে ছিনতাইকারীরা। তারা তার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা, একটি অপো ও একটি আইফোন ছিনিয়ে নেয়।
- ১৯ আগস্ট: রাত আড়াইটার দিকে হুসনাবাদ এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহী তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ১৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই রাতে ধুনট উপজেলার মাসুদ নামের আরেক ব্যক্তিও একই স্থানে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন, তবে তিনি দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
- ২২ আগস্ট: বিকেলে শুবলি এলাকায় শফি খা ড্রাইভারের ছেলে সেলিমের মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। জমি দেখতে গিয়ে তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল রেখেছিলেন, এই সুযোগে তিন-চারজন দুর্বৃত্ত তা নিয়ে পালিয়ে যায়।
- ৩০ আগস্ট: রাতে শালফা বাজারে মো. উপেনের চায়ের দোকানের বেড়া কেটে ২ হাজার ১০০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর বক্তব্য
ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম রূপম জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজ শেষে গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি অবাক হয়ে বলেন, “আমি যতদূর জানি এই সড়কে পুলিশি টহল থাকে। তাহলে এতগুলো ঘটনা পরপর ঘটলো, অথচ পুলিশ কিছুই জানতে পারল না। এটি মেনে নেওয়ার মতো নয়।”
স্থানীয়রা বলছেন, এই সড়কে এখন রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। তারা দ্রুত পুলিশি টহল জোরদার এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।