তানভীর আহমেদ :::
চট্টগ্রাম মহানগরের উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দুই সপ্তাহের মাথায় আনা হয়েছে সংশোধনী। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল পারভেজ ও তার অনুসারীদের নাম কেটে কমিটিতে ঢুকানো হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পারভেজের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর জনসংযোগে বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠে। যদিও ২০২০ সালের পর থেকে সরকার পতনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত দলের সভা সমাবেশ- কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন কামাল পারভেজ। স্থানীয় একটি স্কুলে রেডিও প্রতীকে ভোট চেয়ে কামাল পারভেজের বক্তব্য রাখার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তার প্রতিপক্ষ।
এই বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লেখা চিঠিতে কামাল পারভেজ দাবি করেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে ২০২০ সালে একটি নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। কিন্তু পুরো নির্বাচন জুড়ে দলের মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারণা, সভা-সমাবেশে অংশ নেন তিনি। ২০২২ সালের দলের সদস্য ফর্ম পুনরায় পূরন করেছেন। এছাড়া দুর্দিনে দলের সভা, সমাবেশ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নিয়মিত। দমন পীড়ন কিংবা চাপে কখনোই দল ছাড়েন নি। একারণেই গত ২৩ শে জুন উত্তর পাহাড়তলী বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছিলো তাকে। ‘
উঠা অভিযোগ কোন ধরনের তদন্ত না করেই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কামাল পারভেজের সাথে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এমন পাঁচজনের নাম কেটে নতুন নেতার নাম সংযুক্ত করে কমিটি সংশোধন করা হয়।
জানতে চাইলে কামাল পারভেজ বলেন, ‘ স্কুলের সভাপতি হবার কারণে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্য রেখেছিলাম। স্কুলের ভেতরে প্রচারণা চলছিলো। সেখানে জোর করে আমাকে বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়েছিলো। বিষয়টি আমার সহযোদ্ধাদের সবাইকে বিভিন্ন সময় ব্যাখা করেছি। পাঁচ বছর পর এসে সেই পুরোনো ভিডিও দেখিয়ে দলের জন্য আমার সব ত্যাগকে ম্লান করে দেয়া হলো। আমাকে কমিটি থেকে অন্যায়ভাবে শুধু বাদ দেয়া হয় নি ; একই সাথে আমার সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে অন্যদেরও বাদ দেয়া হলো। ওদের কি অপরাধ? এটা কোন ন্যায় বিচার হতে পারে না। ‘