আল আমিন (নাটোর)
নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকার একটি ফার্নিচার কারখানা থেকে ইয়াসিন (১২) নামে এক শিশু শ্রমিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে পদ্মা গ্যালারির পাশে সুপার ফার্নিচার নামক কারখানার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ইয়াসিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের মনজু মিয়ার ছেলে ও কারখানাটিতে হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল সে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাসায় যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করছিলো শিশু ইয়াসিন। তার বাড়িতে মায়ের কাছে বার বার ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করছিল না। বৃহস্প্রতিবার সকালে কারখানার অন্যান্য কর্মীরা কাজে গেলেও ইয়াসিন কাজে না গিয়ে বাসায় ছিল। এসময় কাজের বুয়া রুপা ছাতা আনতে গেলে বাসার বারান্দায় গলায় গামছা জরানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার আত্মচিৎকারে পরে অন্য সহকর্মীরা এসে তাকে ওই অবস্থায় দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন।
কারখানার শ্রমিক স্বপন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামে তার শুশুর বাড়ি। সেই দিক থেকে ইয়াসিন ভাতিজা হয়। ইয়াসিন এর বাবা মনজু মিয়া অটোচালক এক ছেলে এক মেয়ে অভাবের সংসার তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে। ওই পরিবার থেকে কারখানার কাজ শিখানোর জন্য বললে এতে তিনি রাজি হয়। পরে স্বপন চলে আসার পর অন্তর নামে অন্য শ্রমিকের সাথে নাটোর আসে, যা এক মাসও হয় নাই।
কারখানার মালিক নাসির হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেই ছেলেটা সোফা কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিল। একবার বলল সে কাজ করবে না, আবার কয়েক দিন পরে এসে বলছে বাড়ি যাবে না।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনজার্চ ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসে নাই।