নিজস্ব প্রতিবেদক
ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশে প্রতিদিন, রেডিও ক্যাপিটাল, নিউজ টোয়েন্টিফোরের গণমাধ্যম অফিসে।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে লাঠি, রড ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ায় হামলা চালায় তারা।
সূত্রমতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ সোবাহান স্বেরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে নগ্নভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর আগে ও পরে শেখ হাসিনার সাথে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ৫ই আগস্টের পর বিক্ষুব্ধ জনতা বেশকিছু গণমাধ্যমে হামলার করলেও, বিএনপির দুই নেতা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে অবস্থান নেয়। সেসময় জনরোষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপে বেঁচে যায়।
হামলার সময় প্রতিষ্ঠানটির ভবন ও পার্কিংয়ে থাকা যানবাহনে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। ভিতরে প্রবেশ করে তছনছ করা হয় কালের কণ্ঠ ও রেডিও ক্যাপিটাল অফিস। ভেঙে ফেলা হয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিউজ রুমে থাকা কম্পিউটার, প্রযুক্তিগত সরঞ্জামাদিসহ সবকিছু। ভাংচুর করা হয় পার্কিংয়ে থাকা অন্তত ২০টি যানবাহন।
এসময় হামলার শিকার হন মিডিয়া হাউজে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন। হেনস্থা করা হয় বেশ কয়েকজন নারী কর্মীকেও।
এদিকে, শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা বলছেন, এই হামলার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কোন সম্পর্ক নেই। হামলার নিন্দা জানিয়ে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
২০০৭ ও ২০২৪ থেকে কী শিক্ষা পেল গণমাধ্যম?২০০৭ ও ২০২৪ থেকে কী শিক্ষা পেল গণমাধ্যম?
গত ১৮ জুলাই রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিটিভি ভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়া ভেতরে থাকা কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। তবে, পাঁচ তারিখে সরকারের পট পরিবর্তনের পর সময় টিভি, একাত্তর, এটিএন নিউজ, এটিএন, গান বাংলা, ডিবিসিসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে হামলার ঘটনা ঘটে।