তানভীর আহমেদ :::
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে চট্টগ্রামে সাত জনের মৃত্যু হয়। অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ -যুবলীগ -স্বেচ্ছাসেবক লীগ ক্যাডারদের গুলিতে মুরাদপুর এলাকায় নিহত হন চট্টগ্রাম ওয়াসিম আকরাম। একই দিন ওমর গণি এমইএস কলেজের আরেক ছাত্র ও এক গ্যারেজ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃত্যু ও হতাহতের তালিকা দীর্ঘ হয় পরের দিনও। মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, শাহ আমানত সেতু এলাকায় ক্রাকডাউনের ‘মাস্টারমাইন্ড ‘ অনেকের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
ঘটনার এক মাস গত হলেও চট্টগ্রামের চাঁন্দগাঁও থানায় একটি মাত্র হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তানভীর হত্যা মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম ও রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করীম চৌধুরী, পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, আওয়ামী লীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চুর নাম।
সুত্রমতে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে ছয়টি নাম দেয়া হয়েছিলো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও চাঁন্দগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবিরের কাছে। কিন্তু মামলায় মহেশখালীর কয়েকজনের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামের পাঁচলাইস্তানাই আরটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলাটিতে বাদী হয়েছেন তার মা জোসনা আক্তার। শেখ হাসিনাসহ ১০৮ জনকে এই মামলার আসামি করা হলেও বাদ দেয়া হয়েছে রাউজানের সন্ত্রাসীসহ সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নাম। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা ও এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি আরশাদুল আলম বাচ্চুর নামও এই হত্যা মামলায় নেই। অথচ মুরাদপুর, বহদ্দারহাট এলাকায় ছাত্রলীগ -যুবলীগের তান্ডবে স্বশরীরে অংশ নেন বাচ্চু ও বাহাদুর। আরশাদুল আলম বাচ্চুর বাড়িও ওই এলাকায়। সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ডানহাত হিসেবে পরিচিতি ছিলো আরশাদ উল আলম বাচ্চুর।
মুরাদপুরে ওয়াসিম আকরাম হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের অনেকেই মামলা থেকে বাদ পড়েছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও বিস্মিত এই ঘটনায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কেন মামলার আসামি করা হচ্ছে না -এমন প্রশ্ন তাদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘ অস্ত্রধারী অনেকের নাম বাদ পড়তে পারে। তবে আমরা আশা করছি পুলিশ তদন্ত করে বাকি আসামিদের নাম সেখানে সংযুক্ত করবেন। সন্ত্রাসী ও গণহত্যার নির্দেশদাতাদের ছাড় দেয়া হবে না। ‘