নাদিরা শিমু, চট্টগ্রাম :::
চট্টগ্রামে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পাওয়া দিলোওয়ারা ইউসুফকে নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখনই অভিমানের সুরে মুখ খুলেছেন চট্টলবীর প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শুধু নন,চট্টগ্রামে মহিলা আওয়ামী লীগের মুল সংগঠনের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন।
রাজাকার কমান্ডার আলী আহমদ টি কে ও নুর আহমেদ কেরানীর মেয়ে দিলোয়ারা ইউসুফের মনোনয়ন নিয়ে তিনি সরাসরি মন্তব্য না করে বলেছেন ‘ তদন্তের করে দেখা উচিত। সবকিছু বইয়ে আছে। ‘
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাতে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিণী বলেন, ‘ একজন মানুষ যখন সবকিছু নিয়ে মিথ্যা বলতে থাকে… আমার হাজবেন্ডের হাত ধরে কারা কারা রাজনীতি করেছেন সেটা তো আমিই ভালো জানবো। মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার স্বামী। মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে অনেকে আসতেন। তাই বলে তো ওনার হাত ধরে রাজনীতিতে করেছেন বলা যাবে না। আসা যাওয়া আর হাত ধরে রাজনীতি করা কি এক হলো ? ‘
১৯৯৪ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনে দিলারা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করার বিষয়ে তিনি বলেন ‘ মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতিতে সমন্বয়কারী অনেকেই ছিলেন। বিপদে পড়লে সবাই মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী বলে বেঁচে যেতে চান। চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী কখনো কোন রাজাকারকে পুনর্বাসিত করেন নি। ‘
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর চট্টগ্রাম কলেজে মিছিল করতে গিয়ে দিলোয়ারা ইউসুফের স্বামীর গ্রেফতার হবার তথ্য সম্পর্কে হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, ‘ কি কাজ করেছিলেন যে ওনার হাজবেন্ট এরেস্ট হবে। এমন কথা কোন দিন শুনিনি। এখন শুনতেছি। এই যে বাংলাদেশ সোনার বাঙলা হয়েছে, সবাই জানেন মহিউদ্দিন চৌধুরীরা কি করেছিলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রতিবাদে সরব ছিলেন। কাউকে সামনাসামনি লজ্জা দিতে চাই না। এখন এসব কথা শুনে লজ্জা হয়। ‘
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী কি করেছেন সেটা আপনারা জানেন, আমি জানি৷ পুরো ঘটনার তদন্ত করলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে। ‘
দিলওয়ারা ইউসুফ দাবি করেন তার বাবা রাজাকার ছিলেন না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ কাজ করেছিলেন। কিন্তু হাটহাজারীর জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা তাকে রাজাকার বলে শনাক্ত করেছেন। হাটহাজারীর জীবিত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম, হাফেজ কামাল, জয়নাল আবেদীন ( মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ওহাব মিয়ার সন্তান) আলী আহমদ টি, কে ও নুর আহমেদ কেরানীর ( দিলারার বাবা) মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার কথা গণমাধ্যমে বলেছেন।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের সময় দিলোয়ারা ইউসুফের চাচা আলী আহমদ টি.কে ও তার বাবা নুর আহমেদ কেরানীর নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুলেছেন উত্তর জেলা ইউনিটের মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার নুরুল আলম। নুর আহমেদ কেরানী ও আলী আহমদ টি কে’র নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ কামালও গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেয়ার পর নড়েচড়ে বসেন চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা। রবিবার সন্ধ্যায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ দিলোওয়ারা ইউসুফ বারো বছর ধরে উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এমপি মনোনয়ন পাবার পর এখন কেন প্রশ্ন উঠলো। কেউ কিছু পেলেই সাথে সাথে সমালোচনা শুরু হয়। ‘