ইবি প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’; ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’; ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খানসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা ও শতাধিক শিক্ষার্থী।
কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খান বলেন, “গাজীপুরের এই ঘটনা প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়কে ব্যথিত করেছে। মুসলমানরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতো, তবে কোনো অপশক্তির পক্ষে মুসলিম নারীর গায়ে হাত তোলা সম্ভব হতো না।”
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশরাফী বলেন, “একটি মুসলিম রাষ্ট্রে ধর্ষণের মতো ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে এসব অপরাধ ঘটছে। ইসলামী পর্দা ও শালীনতা রক্ষা করা প্রতিটি মুসলিম নারীর জন্য ফরজ ইবাদত।” তিনি আরও বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাওহীদি জনতা আজ যে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে, তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া উচিত।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জয় কুমার দাস, লোকনাথ ও সঞ্জিতসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ ওই চক্র ছাত্রীটিকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক