মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য ফাঁস ও অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এ মামলা করা হয়েছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সমালোচকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হচ্ছে। বোল্টন হলেন সে কাতারে যুক্ত হওয়া তৃতীয় ব্যক্তি।
৭৬ বছর বয়সী এই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের একটি ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি ১৮টি অভিযোগ এনেছে। যার মধ্যে রয়েছে গোপন নথি স্থানান্তর ও সংরক্ষণ।
ছয় পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বোল্টনের বিরুদ্ধে ইমেলের মাধ্যমে দুই ‘অননুমোদিত ব্যক্তির’ সাথে গোপন নথি শেয়ার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা বোল্টনের স্ত্রী ও মেয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়কার এক হাজার পৃষ্ঠার বেশি নথি বেসরকারি ইমেল বা মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি।
মার্কিন বিচার বিভাগের দাবী, ওইসব নথিতে ‘ভবিষ্যৎ হামলা, বৈরী রাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত সংবেদনশীল গোয়েন্দা তথ্য’ ছিল। প্রতিটি অভিযোগে জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এক বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি সতর্ক করে বলেন, ‘যেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করবে, তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে অভিযোগ অস্বীকার করেন বোল্টন। তার দাবী, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এসব অভিযোগ একসময় খারিজ করা হয়েছিল, এখন ফের তা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বোল্টনের মামলা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তার সাবেক সহকারী ‘খারাপ লোক’ এবং ‘এটাই হওয়ার ছিল’।
সূত্র : বাসস
এই বাংলা/এমএস
টপিক