::: নাদিরা শিমু :::
দীর্ঘদিন ধরে নানা জঞ্জাল আর আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হবার কারণে চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে খেলাধুলার কোন পরিবেশই ছিলো না। জেলা প্রশাসকের কঠোর অবস্থানের কারণে
অবশেষে চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়াম পাচ্ছে নতুন রূপ। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে নতুন নকশায় শুরু হচ্ছে কাজ। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার ফখরুজ্জামান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
এরআগে জেলা প্রশাসন মেলাসহ নানান অনুষ্ঠান বন্ধ করে আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলো। ফুটবল খেলার মাঠ, আর মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক নিয়ে মাঠটিকে নতুনভাবে সাজাতে চায় সংশ্লিষ্টরা।
আউটার স্টেডিয়ামের নকশাকার স্থপতি আশিক ইমরান জানান, ‘আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এরমধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম এবং বসার জায়গা থাকবে। ’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সেসব আয়োজন রাখতে চাই। একইসঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই। এজন্য শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এখনো বাজেট চূড়ান্ত হয়নি’।
তিনি বলেন,আউটার স্টেডিয়াম থেকে আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে। আবার আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে।
আসন্ন বর্ষার আগেই মাটি ভরাট ও পুরো মাঠে সবুজ ঘাস লাগানো হবে। ইতিমধ্যে মাঠের চারপাশে ফেন্সিং দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, খেলার জগতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ফেরানোর জন্য আউটার স্টেডিয়াম সংস্কার করে সবধরনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।
এইবাংলা /হিমেল