::: লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :::
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারন সন্পাদক আবদুল্লাহ্ আল নোমান বশিকপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি করে।এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বশিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নোমানের মাথায় গুলি করা হয়েছে। নোমান মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাকিব নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। শুনেছি রাস্তায় তারও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে যুবলীগ নেতার মৃত্যুর খবরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সদর হাসপাতালে জড়ো হয়। হাসপাতাল এলাকায় কান্নার রোল পড়ে যায়। পরে সদর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নোমান হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে নেতারা।
এ হত্যার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করছেন নেতারা। তবে সদর হাসপাতালে নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান কাশেম জিহাদীর লোকজন নোমানকে গুলি করে হত্যা করেছে। চেয়ারম্যান নির্বাচনে কাশেম আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছিল। এরপর থেকে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। এ হত্যা পরিকল্পিত ছিল। আমি কাশেম জিহাদীর বিচার চাই।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি (নোমান) প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। আহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ও একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার আগে নোমান পোদ্দার বাজারে ছিল। এসময় তার সঙ্গে থাকা অন্যদেরকে বিদায় দিয়ে তিনি রাকিবকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নাগেরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নাগেরহাটের কাছাকাছি পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি করে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এইবাংলা /তুহিন