::: অপু ইব্রাহিম :::
বাংলাদেশ রেলওয়ের সোনার বাংলা ট্রেনে ইফতারের প্যাকেটে তোলাপোকা পাবার পর সংক্ষুব্ধ যাত্রী মহা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই যাত্রীর নাম মোহাম্মদ শাহনুর।
লিখিত অভিযোগে শাহনুর জানান, সোনার বাংলা ট্রেনে ৯ই এপ্রিল ভ্রমণ করার সময় (সিট -৫৩) ইফতারের প্যাকেট ক্রয় করেন ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে। প্যাকেট খুলে ইফতার করার সময় চনাবুট মুড়ির সাথে তেলাপোকা দেখতে পান। ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিসে অভিযোগ করে কোন সদুত্তর পান নি তিনি।
শাহনুর বলেন, ‘ ইফতারের প্যাকেট কিনে রোজা ভাঙার পরই ছোলার সাথে তোলাপোকা দেখতে পাই। এরআগে আমি খাওয়া শুরু করি। ফলে বমি করতে করতে ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে যাই৷ ‘
জানা যায়, সোনার বাংলা ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিস ঠিকাদারী করছেন হাবিব বানিজ্য বিতান নামের একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। টেন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও প্রতিষ্ঠানটির মালিক থেকে অবৈধ ভাবে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বারবার ক্যাটারিং সার্ভিসের টেন্ডার নবায়ন করে দেয় রেলওয়ে পুর্বাঞ্জলের কিছু আসাধু কমকর্তা।
তথ্য মতে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়ের আসাধু কমকর্তাদের মাধ্যম হয়ে কাজ করে শাহআলম ও ওয়ালিউর রহমান নামের এক ঠিকাদার। এ-ই সিন্ডিকেটের দেয়া খাবারের মান যেমন নিম্নমানের সে অনুযায়ী খাবারের দাম আকাশ্চুম্বি। অধিকাংশ খাবার ই থাকে বাসি, অনেক সময় দেখা গেছে অনেক যাত্রী এ-ই বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, আমরা বছরের পর বছর ঘুরেও একটি টেন্ডার পায় না। কিন্তু এ-ই সিন্ডিকেট টি প্রতিবারই টেন্ডার গুলো নবায়ন করে নিয়ে যাচ্ছে যা রেল আইন অনুযায়ী সম্পুর্ন বেআইনী।
বছরের পর বছর একটি টেন্ডার ও না পাওয়ই আমার মতো আরও অনেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, আবার অনেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
এ-ই বিযয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সি সি এম বিভাগের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের মোবাইলে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত আছি বলে ফোনের সংযোগ টি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর আরও কয়েকবার ফোনে উনার সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে উনি ফোন রিসিভ করেন নি।
যাত্রীদের অভিযোগ রেলওয়ের এইসব দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর কারণে রেল বিভাগ যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি হারাচ্ছে যাত্রী সেবার মান। রেলওয়েকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে হলে এসব দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহক মোহাম্মদ শাহনুর।
এইবাংলা/তুহিন