এইচ এম নাসির উদ্দিন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি জেল প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা ও জনসচেতনতার অভাবে চলছে পশু জবাইসহ মাংস ক্রয়-বিক্রয়। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না কেউ। এর ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের হলেও তাদের নেই কোনো তৎপরতা। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
জেলায় যেসব এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হয়। প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।
সদর উপজেলার আবদুস সালাম , জাকির হোসেন নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমরা তাও জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী বলেন, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো এখন আর তা করা হয়না বা প্রশাসনের কেউ থাকেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নীরোদ বরণ জয়ধর বলেন,আমি নতুন যোগদান করেছি। কেনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছেনা বিষয়টি জেনে বলতে পারবো।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা.হুমায়ুন কবির বলেন,স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান জাসান, বিষয়টি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হবে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক