Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

― Advertisement ―

spot_img

বকশীগঞ্জে পালিত হয় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস

সুমন মিয়া, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : “সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জামালপুরের বকশীগঞ্জে নানা আয়োজনে  আন্তর্জাতিক দুর্যোগ  প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে । দৈনিক এই বাংলার...
Homeজন-দুর্ভোগঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ৯ জনের কারাদণ্ড

ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ৯ জনের কারাদণ্ড

আল-আমিন, স্টাফ রিপোর্টার :

‎শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সরকারি বালু মহাল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রানী ভৌমিক এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

‎দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—আকতার হোসেন, মাহবুল, আব্দুল মজিদ, রিপন মিয়া, রবিউল ইসলাম, হারুন আর রশিদ, মোস্তফা, মামুন ও আছর উদ্দিন। এর মধ্যে রবিউল ইসলামকে ২ দিনের, আছর উদ্দিনকে ২৫ দিনের এবং বাকি ৭ জনকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

‎ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ভাবে বালু মহাল বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি উপজেলার কালঘোষা ও গজনী বিট এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

‎অভিযানের সময় অবৈধ বালু বহনকারী ১০টি ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান ও একটি ট্রলি আটক করা হয়। পরবর্তীতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারার লঙ্ঘন ও ১৫(১) ধারার অপরাধে আটক ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

‎দণ্ডাদেশ ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রিজন ভ্যানে করে সরাসরি শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল আমিন।

‎এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “সরকারি বালু মহাল বন্ধ থাকা অবস্থায় কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বা পরিবহন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই কালঘোষা ও গজনী বিট এলাকায় প্রভাবশালী একটি চক্র সরকারি অনুমতি ছাড়া নদী ও খাল থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়া ছাড়াও এলাকাবাসীর বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে এবং স্থানীয়রা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

 

এই বাংলা/এমএস

টপিক