মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে অবৈধ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধে এবার যুক্ত হলো বিমান বাহিনী। জেলেদের গতিবিধি শনাক্তে আকাশপথে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে তারা। অভিযানে বেশ কয়েকটি ট্রলার ও জেলেদের গতিবিধি শনাক্ত করে টহল হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারের ককপিট থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সার্চলাইটের আলোর নিশানা পদ্মা-মেঘনার মোহনায় জেলেদের ট্রলারের দিকে। বিমান বাহিনীর চৌকস সদস্যদের লক্ষ্য ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় বিমান বাহিনীর বিশেষ অভিযান।
বাহিনীর ক্রুরা নাইট ভিশন গগলস ব্যবহার করে অবৈধ ইলিশ আহরণ ঠেকাতে মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, লৌহজং, শিবচর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ উপকূলে অভিযান চালায়।
দেড় ঘণ্টার এ হেলিকপ্টার অভিযানে অসংখ্য সন্দেহভাজন ট্রলার চিহ্নিত করে রেডিও সংকেতের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডকে অবিহিত করে বিমান বাহিনী। পরে, চিহ্নিত স্থানে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় কোস্টগার্ড।
বিমান বাহিনী উইং কমান্ডার বায়জিদ মতীন বলেন, ‘অনেকগুলো সন্দেহভাজন নৌকা পেয়েছি। আকাশ থেকেই আমরা সেগুলো কালেক্ট করেছি। এরপর এটিসি টাওয়ারের মাধ্যমে আমাদের কনসার্ন এজেন্সিকে জানিয়েছি। ওইসব জায়গায় যেসব কোস্টগার্ড রয়েছে তাদেরকে জানিয়ে দিবে।’
বিশেষ এই অভিযানে যোগ দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বিমান বাহিনীর অভিযানের কারণে বিগত বছরের চেয়ে চলতি বছর ইলিশ উৎপদান বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘গত বছর এই অভিযানের ফলে মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ৫২.৫ শতাংশ সফলতা এসেছিল। এবার বিমান বাহিনী টহল অভিযানের কারণে আশা করি এর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।’
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক