বিপ্লব তালুকদার , খাগড়াছড়ি::
শুভ মহালয়া উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনালগ্ন। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে চণ্ডীপাঠে মর্ত্যে দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানিয়েছেন ভক্ত-পুণ্যার্থীরা। পিতৃপক্ষের সমাপ্তিতে দেবীপক্ষে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলেও দুর্গাপূজার আনন্দময় আবেদন সর্বজনীন। তাই তো, দেবীর আগমনধ্বনিতে পাঁচদিনের উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার অপেক্ষায় সারা দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর ) খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে ও পূজামণ্ডপে চলছে চণ্ডীপাঠ, ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা-অর্চনা ও সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের আয়োজনে চলছে ধর্মীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সেইসাথে পালন করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ধর্মীয় আচার আচারণ।
খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে দিনভর রয়েছে মহালয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন। সেখানে ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানানোর পর মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়েছে। তাতে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা শেষে অন্য আনুষ্ঠানিকতায় মেতেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা।২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজায় শুরু দুর্গাপূজা শেষ হবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে। সেদিন সন্ধ্যায় দেবী দুর্গাকে বিসর্জনে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।
এবার দেবী দুর্গার আগমন গজে বা হাতির পিঠে চড়ে হবে। গজে আগমন বা গমন হলে বসুন্ধরা শস্য শ্যামলা হয়। দশমীতে দেবী মর্ত্যলোক ছাড়বেন দোলায় চেপে। আর দোলায় দেবীর গমনকে মহামারী বা মড়কের ইঙ্গিত ধরা হয়।