মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার ভূমিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিতর্ক
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চলমান একটি মামলায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত alleged মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মামলার ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জেরা চলাকালে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করে ভারত চলে যেতে বাধ্য হন। তিনি আরও দাবি করেন, ওই সময়কার আন্দোলন ছিল একটি দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ, যার পেছনে দেশি ও বিদেশি শক্তির মদদ ছিল। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
তবে প্রসিকিউশন পক্ষ এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে জানায়, এ ধরনের আলোচনা মামলার প্রাসঙ্গিকতার বাইরে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রসিকিউশন দল মনে করে, মামলার মূল বিষয়ের মধ্যেই যুক্তি সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
সাক্ষী নাহিদ ইসলাম স্টেট ডিফেন্সের উত্থাপিত বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন, ৫ আগস্টের সহিংসতা ও নির্যাতনের বিষয়ে তিনি জানতে পেরেছেন সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিসের কাছ থেকে। তিনি শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনার আইনজীবী অবশ্য বলেন, আন্দোলন দমনকল্পে হেলিকপ্টার কিংবা মারণাস্ত্র ব্যবহারের কোনো নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা। বরং তিনি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালান এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি বলেই দাবি করেন।
সকাল ১১টার পর থেকে শুরু হওয়া জেরা পর্ব দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। জেরা শেষে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মিজানুল ইসলাম এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ আরও অনেকে।