বিপ্লব তালুকদার , খাগড়াছড়ি::
খাগড়াছড়ি জেলায় অনলাইন ভিত্তিক নারী উদ্যেক্তাদের ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে।ডিজিটাল প্লাটফর্ম ফেসবুক ভিত্তিক পেইজে যুক্ত হয়ে ব্যবসা পরিচালনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার অনেক নারী উদ্যোক্তা।
এতে ঘরে বসেই পরিবারের কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন তারা। অল্প পুঁজিতেই নারীরা অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে সফল হয়েছেন তার মধ্যেই রিতা চক্রবর্তী একজন । স্বামী কাছ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা নিয়ে করোনা ভাইরাস এর সময় শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা ।
শুরুতে তেমন পুঁজি ছিল না শাড়ি ও চাদর কিনে শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা বর্তমান তার প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো শাড়ি কাপড় যার মধ্যে রয়েছে ঢাকাই জামদানি শাড়ি , সিলেটের মনিপুরী শাড়ি ,টাঙ্গাইল তাতের শাড়ি, ইন্ডিয়ান বালুচুড়ি শাড়ি ও স্বণচুড়ি শাড়ি সহ আরো অনেক শাড়ি কাপড়।
এ কাজে আয় সম্পর্কে রিতা চক্রবর্তী বলেন, প্রতি মাসে আমার ভালো আয় হয়। পরিবার আমার কাজে সব সময় সহযোগিতা করেছে। নিজের অনলাইন ব্যবসা আরও বড় করার ইচ্ছে আছে। ইচ্ছে আছে একটি অনলাইন শপিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা। এ ছাড়া আমার কাজের পাশাপাশি কর্মহীন মানুষের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই।
জেলার প্রায় অনেক নারী উদ্যোক্তা এভাবে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছেন। দিন দিন বাড়ছে এদের সংখ্যা।অনলাইনে মানুষের খাদ্যপণ্য ও পোশাকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে অনেক নারীই ঘরে বসে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেন। যা এখনো ধরে রেখেছেন নারী উদ্যোক্তারা।
খাগড়াছড়ি জেলার নারী উদ্যোক্তা রিতা চক্রবর্তী একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে জেলা ও জেলার বাইরে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। ছোট বেলা থেকে ইচ্ছে ছিল পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করার।
কোথাও চাকরি করলে অন্যের অধীনে কাজ করতে হয়। তার লক্ষ্য ছিল অন্যের অধীনে কাজ না করে নিজে নিজে কিছু একটা করার। ঋত্বিক ফ্যাশন নামে একটি ফেসবুক পেইজ খুলে শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা । প্রথম দিনেই অর্ডার আসে জেলা ও অন্য জেলা থেকে এতে কাজের প্রতি উৎসাহ পাই শুরু হলো কাজ করা।
এখন প্রতি মাসে তার ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয় অনলাইনে। ঠিকভাবে কাজ করতে পারলে প্রতিমাসে অনেক টাকাআয় করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে পরিবারের সহায়তা খুব প্রয়োজন।