আল-আমিন, শেরপুর:
ভারতের মেঘালয়ের খাসী হিলসে গণপিটুনীতে নিহত শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার যুবক আকরাম হোসেন (৩০) এর লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহত আকরামের মরদেহ গ্রহণ করা হয়।
লাশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভারতীয় স্থানীয় পুলিশ, কলমাকান্দা থানার পুলিশ এবং নিহত আকরামের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আকরাম শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন পাগলার ছেলে।
নিহতের বড় ভাই শেখ ফরিদ লাশ গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করেন। ১৮ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টায় তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানা যায়, “আমরা লাশ নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছি। এখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হবো। আকরামের লাশ ঝিনাইগাতীর বাঁকাকুড়া গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিনাইগাতীর বাঁকাকুড়া এলাকার বাসিন্দা হলেও আকরাম দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে শেরপুর, ঝিনাইগাতী, জামালপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ছিল। তিনি পলাতক অবস্থায় বরিশালে বসবাস করতেন এবং সেখানেই বিয়ে করে সংসার শুরু করেছিলেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমিন জানান, “ভারতের মেঘালয়ে নিহত আকরামের বিরুদ্ধে থানায় একটি অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।”
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট আকরামসহ আট বাংলাদেশি নাগরিক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশ করেন। পরে ১০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসী হিলস জেলার কৈথাকোণা গ্রামে স্থানীয়রা আকরামকে ধরে বেধড়ক গণপিটুনি দেন, যার ফলে তার মৃত্যু হয়।