26 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

অতীতে যারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাদের নিজস্ব কারখানা থাকায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হয়নি- শ্রম উপদেষ্টা

আরও পড়ুন

আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি ::

অতীতে যারা শ্রম মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হয়েছিলেন তাদের নিজেদের কারখানা থাকায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ রোববার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, দেশের অনেক শিল্প মালিক আছেন, যারা শ্রমিকদের দেখাশোনা না করে নিজেদের স্বার্থ দেখাশোনা করেছেন। আমাদের শ্রমিকরা যদি তাদের প্রাপ্য বুঝে না পায়, তাহলে আমরা যে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখছি তা বাস্তবায়ন সম্ভব না। গত আট মাসে আমরা দুবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশের শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, অতীতে যারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ব্যক্তি স্বার্থ ছিল। যারা মন্ত্রী হয়েছেন তাদের নিজেদের কারখানা থাকায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হয়নি। অতীতের এসব কারণে আমাদের কিছুটা চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আমেরিকা নানা দিক থেকে চাপ দিচ্ছে।

শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা নেতা হয়েছেন তা কিন্তু শুধুমাত্র ভোটের জন্য না। আপনাকে নেতা করা হয়েছে যেন আপনি তাদের সঠিক পথে চালিত করতে পারেন। আপনি যদি বেঠিক পথে চালান, তাহলে আমাদের দেশের স্ট্রাকচার ভেঙে পড়বে। সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। ডিসট্রিক্ট ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবটা ভেঙে পড়বে। এটাকে ৮ মাসে ১০ মাসে বা এক বছরে ঠিক করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্প সীমিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখনো রপ্তানিমুখী শিল্পে বৈচিত্র্য আনতে পারিনি। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্প খুব সীমিত। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পই হচ্ছে গার্মেন্টস। গার্মেন্টস কারখানার জন্য আমাদের রপ্তানি শিল্প টিকে আছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্প আমাদের সম্ভাবনাময় রপ্তানি শিল্প। তবে আমরা সেখানে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারিনি।

‎‎শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বিনা কারণে কারখানার শ্রমিকদের উত্তেজিত করে কারখানার ক্ষতি করা যাবে না। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে সেই কর্মীরা কর্মহারা হয়ে পড়েন। তাই নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর