আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :::
যমজ দুই ভাই খালেদ মাহমুদ ও খালেদ আযম। তাদের বয়স যখন মাত্র পাঁচ, তখনই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বাবা মারা যান। কঠিন সেই সময়ে মা মেহেরনেকা ও বড় দুই ভাইয়ের দৃঢ় সাহস, পরিশ্রম ও ত্যাগে এগিয়ে চলে তাদের শিক্ষাজীবন। আর সেই পথ পেরিয়ে এবার একসঙ্গে চিকিৎসক হয়ে নজির গড়েছেন তারা।
সম্প্রতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার মাছিমপুর গ্রামের যমজ দুই ভাই। চেহারায় যেমন হুবহু মিল, তেমনি সাফল্যেও প্রতিটি ধাপে ছিল যমজ চমক। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে দুজনই প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পেয়েছেন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে শিক্ষা বোর্ড প্রদত্ত বৃত্তিও লাভ করেন। দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ক্লাসেই দুজন সমান নম্বর পেয়ে একসঙ্গে প্রথম হয়েছেন।
২০১৯ সালে তারা একসঙ্গে সুযোগ পান রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার। একই বছর রুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও একসঙ্গে উত্তীর্ণ হন তারা।
ব্যতিক্রম শুধু বুয়েট সেই পরীক্ষায় কেউই চান্স পাননি। সাফল্য যেমন যমজ ছিল, ব্যর্থতাও যেন ভাগাভাগি। তাদের এই অসাধারণ সাফল্যে ২০১৯ সালে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লক্ষণহাটী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ সংবর্ধনা ও সন্মননা ক্রেস্ট প্রদান করে। এলাকাবাসী এখনও তাদের কৃতিত্ব নিয়ে গর্ববোধ করেন।
বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, দুই ভাইয়ের এমন যমজ সাফল্যে আমরাও অভিভূত। এলাকায় সবাই অবাক হয়ে যেত ওদের রেজাল্ট দেখে। আজ একসঙ্গে এমবিবিএস শেষ করায় আমাদের পরিবারে আনন্দের সীমা নেই।