আল আমিন (নাটোর)
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা তল্লাশির অংশ হিসেবে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। গতকাল ২১ জুন শনিবার রাত সোয়া বারোটার দিকে চেকপোস্টে কর্তব্যরত সেনা সদস্যরা ৪ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালান। তল্লাশি ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল এবং কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তারা স্বীকার করে যে,তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তারা ২জনের নির্দেশে, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে ঐ দুইজন ডাকাত দলের লিডার সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর নতুনপাড়া এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে, মো:আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) একই এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে মো: কাওসার আহমেদ(২৫), গুরুদাসপুর উপজেলার হরদমা গ্রামের রওশন মিয়ার ছেলে মো:মনিরুল ইসলাম (২৪) একই উপজেলার নাজিরপুর দুধগাড়ি এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মো:মবিদুল ইসলাম (২১) এবং সিংড়া উপজেলার কালিনগর গ্রামের সালাম আলীর ছেলে মো:সুরুজ আলী (২১) জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এ পর্যন্ত তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৮টি অটোরিকশা ডাকাতি, ১২টি মোটরসাইকেল ডাকাতি, ৯টি কোরবানির গরু ডাকাতি, চাদা না দেয়ায় ৬টি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এছাড়াও, বিভিন্ন বিল, পুকুর ও নির্জন এলাকায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির ঘটনাও সংঘটিত করেছে বলে তারা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসমাউল হক ৬ অভিযুক্ত ডাকাতকে তাদের জিম্মায় পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।