27.2 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

পঞ্চগড় পশুর হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম, কেনার থেকে দেখার লোক বেশি

আরও পড়ুন

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:::

পঞ্চগড়ে সবচেয়ে বড় পশুর হাট ‘রাজনগড় হাট’ বেশ জমে উঠেছে। ঈদ সামনে রেখে বড় এ হাটটি এখন জমজমাট। হাটে ব্যাপকহারে গরু এলেও ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি।

বড় গরুর চাহিদা নেই, ক্রেতা কম, দাম কম। সবমিলিয়ে এবার গরুর হাটে পশু বেচাকেনা নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে ব্যবসায়ী ও খামারিদের মাঝে। তবে অনেকের আশা, ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে ততোই বাড়বে কেনা-বেচা।

এছাড়া কম দাম হওয়ায় খুশি ক্রেতারাও।জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ১৬টি ছোট বড় গরুর হাট রয়েছে। এরমধ্যে পঞ্চগড়ের রাজনগর এবং বোদার নগরকুমারী হাট সবচেয়ে বড় ।

এ বছর পঞ্চগড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি খামারি রয়েছে। খামারিদের গোয়াল থেকে কোরবানির জন্য গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়াসহ মোট ১ লক্ষ ৪৫ হাজার পশু লালন পালন করেছেন খামারিরা।

জেলার বড় হাট হিসেবে পরিচিত রাজনগড় ও বোদার নগরকুমার হাটে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু হাটটিতে এসেছে। বড়, ছোট-মাঝারি থেকে সব ধরনের গরু রয়েছে। আকারভেদে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

পশুর হাটে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছে ইজারাদার কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবী ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি চিকিৎসক। তবে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম। কেনার থেকে দেখার ও দাম শোনার মানুষের সংখ্যাই বেশি। আবার বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। কম দামে ক্রেতারা খুশি হলেও আশানুরূপ দাম না পেয়ে হতাশ বিক্রেতারা।

মনতাজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আজকের হাটে গরুর আমদানি বেশি। তুলনামূলক গতবারের চেয়ে দাম কম রয়েছে। আমি একটি গরু কিনেছি। এই গরু অন্য জায়গায় বিক্রি করলে লাভ হবে। ছোট গরুর চাহিদা বেশি। আরেক ক্রেতা মনসুর বলেন, এখনও কয়েকদিন বাকি আছে। এ হাটে কিনতে আসিনি। দেখতে এসেছি। হাট ঘুরে দেখলাম। দরদাম করলাম। কয়েক হাট ঘুরে তারপর কিনবো। তবে এবার গরুর চাহিদা কম হলেও আমদানি বেশি। বড় গরু একটা না কিনে প্রয়োজনে দুই তিনটা কিনবো। গতবারের চেয়ে দামও কম।

হাটের ইজারাদার আব্দুস সামাদ পলক বলেন, প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার বসে এই হাট। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরুর হাট হলো এই রাজনগড় পশুর হাট । এরইমধ্যে গরুর হাটটি বেশ জমে উঠেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন বলেন, ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। এ হাটে অনেক গরু আসছে, কিন্তু কেনার মানুষ নেই। দেখার মানুষের সংখ্যা বেশি। সকাল দশটার মধ্যে এই ১১ টি গরু নিয়ে এসেছি দুইটা পাড় হয়ে গেলোও এখনো পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি । এতে কি করব বুঝতে পারছিনা । অথচ গত বছর এই সাইজের গরুর চাহিদা ও দাম দুটিই ভালো ছিল।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ বাবুল হোসেন জানান, পঞ্চগড় রাজনগড় হাট জেলার সবচেয়ে বড় হাট। হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। কোনো গরু বা পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ১৬টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে হাটগুলোতে এখনও কোরবানির বেশ কয়েকদিন বাকি। এখন পর্যন্ত কেনাবেচার কথা ভালো-মন্দ বলা সম্ভব নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর