26 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

নেছারাবাদে সড়কে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

আরও পড়ুন

সানাউল্লাহ রেজা শাদ -পিরোজপুর ::

‎গ্রীষ্মের খড়ার মাঝেও প্রকৃতি যেন রঙের তুলিতে আঁকে এক নতুন ছবি আর সেই ছবির অন্যতম অনিন্দ্য প্রকাশ হলো কৃষ্ণচূড়া ফুল।

শহরের প্রবেশমুখে দণ্ডায়মান কৃষ্ণচূড়া গাছ যেন স্বাগত জানায় আগন্তুকদের। সড়কের দু’পাশে লাল-কমলার এক অপরূপ রঙে সেজেছে পুরো এলাকা, দেখে মনে হয় যেন ফুল দিয়ে সাজানো কোনো স্বপ্নের দরজা।

‎পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা শহরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়া এই রঙিন দৃশ্য এনে দেয় প্রশান্তি।
কেউ হাঁটেন, কেউ প্রকৃতির সঙ্গে ছবি তোলেন, কেউবা বসে পড়েন গাছের ছায়ায়,তরুণ-তরুণীরা এসে ভিড় জড়ায় প্রকৃতির সৌন্দর্যে ডুবে যেতে।

‎স্থানীয়রা জানান, এই কৃষ্ণচূড়া গাছ দুটি যেন আমাদের শহরের গেটওয়ে। বাইরে থেকে কেউ এলে সবার আগে এ দুটো গাছ দেখে মুগ্ধ হয়। গাছ দুটি দেখতে আমরা প্রায়ই এখানে আসি। জায়গাটা আমাদের খুবই ভালো লাগে।

কলেজ পড়ুয়া এক দর্শনার্থী আনিকা বলেন, প্রতিদিন বিকেলে মনটা একটু শান্তির খোঁজে এদিকেই চলে আসে। গাছ দুটির ফুলের রঙ আর পরিবেশ আমাকে বারবার মুগ্ধ করে। পাশেই নদী গরমের ক্লান্তি যেন এখানে এসেই ভুলে যাই। এ জায়গাটা এখন আমাদের মতো অনেকের জন্যই প্রিয় এক আশ্রয়।

‎পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মকালীন রঙিন ফুলের গাছ হিসেবে বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম- ডেলোনিক্স রেজিয়া। লাল ফুলকে কৃষ্ণচূড়া এবং হলুদ ফুলকে রাধাচূড়া বলা হয়। মাদাগাস্কারে এর উৎপত্তি হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে এটি একটি পরিচিত দৃশ্য। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই ফুল ফোটে। কৃষ্ণচূড়া গাছ সাধারণত ৩০-৪০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি অনেক এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সচেতন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এই সৌন্দর্যময় গাছটিকে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর