25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

নবীগঞ্জে পৌরসভার ড্রেন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, জনমনে প্রশ্নের ঝড়!

আরও পড়ুন

স্বপন রবি দাশ,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর শহরে ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নবীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পে ২ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৩৯৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাগজে-কলমে কাজটি পায় ঢাকার উত্তরার “এস এম এন্টারপ্রাইজ” নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কিন্তু বাস্তবে কাজটি করছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি—যা ঘিরে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটি মিশ্রিত বালু, ছোট আকারের রড, কম মানের পাথর এবং নিম্নমানের সিমেন্ট দিয়ে চলছে নির্মাণকাজ। ঢালাইয়ের সময় প্রকৌশলী বা সহকারী প্রকৌশলীর কোনো তদারকি থাকছে না। এমনকি রাতে অন্ধকারে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলতে দেখা গেছে নবীগঞ্জ পৌর শহরের ওসমানী রোডে।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পাথরের স্তূপে প্রচুর পরিমাণে মাটি মেশানো রয়েছে। শ্রমিকরা জানান, পাথর ধুয়ে নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফাহিম ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পাথর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দায়ী, এবং ভবিষ্যতে এমন পাথর আর ব্যবহার করবেন না।

ড্রেন নির্মাণে ২০ মিলিমিটার আকারের ভাঙা পাথর ও মানসম্পন্ন সারি বালু ব্যবহারের কথা থাকলেও বাস্তবে সেগুলোর উপস্থিতি নেই। রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে মাটি মিশ্রিত বালু ও ‘মরা’ পাথর—যা টেকসই ড্রেন নির্মাণের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই মানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করলে তা স্থায়ী হবে না। পানি এলেই ড্রেন ধসে পড়বে।”

সাইটে নিরাপত্তা ব্যবস্থারও অভাব রয়েছে। শ্রমিকদের কারও মাথায় হেলমেট নেই, পায়ে নেই বুট জুতা, এমনকি সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডও নেই।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম বলেন, “নিম্নমানের পাথর সাইটে আনার বিষয়টি আমাদের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ঠিকাদারকে তা ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেই। সেইসঙ্গে নিম্নমানের পাথর সরিয়ে ফেলার এবং সঠিক মানের মালামাল না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।”

ড্রেন নির্মাণে স্বচ্ছতা ও গুণগত মান নিশ্চিত না হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর