সানাউল্লাহ রেজা শাদঃ
পায়রা, বিশখালী আর বলেশ্বরের ঢেউ ভেঙে ফিরতে শুরু করেছে ট্রলার। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালন করতে অনেকেই শেষবারের মতো বেচাকেনা করছেন রূপালি ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের।
সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা পালন করে। এবছর, মিয়ানমার ৯১ দিন, ভারত ৬১ দিন এবং বাংলাদেশ ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞা পালন করবে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের গেলো ৩ অর্থ বছরের তথ্য বলছে, ক্রমশ কমছে ইলিশ আহরণ। তবে কি সুফল আনছে না এ নিষেধাজ্ঞা!
২০২৪-২৫অর্থবছরে (১০ এপ্রিল পর্যন্ত)ইলিশ আহরিত হয়েছে- ১৩৯৯ মে: টন। অন্যান্য মাছ – ১৭১৩ মে: টন।
জেলেদের অভিযোগ, বিগত বছরগুলোতে নিষেধাজ্ঞার সময় সমুদ্রে মাছ শিকার করে অসাধু চক্র। এ বছরেও নিষেধাজ্ঞা শুরুর ঠিক আগমূহুর্তে প্রভাবশালীদের মাছ ধরার ট্রলার সমুদ্রমুখী হওয়ায় ক্ষুব্ধ জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন – অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে বিগত দিনের তুলনায় নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে টহল আরো জোরদার করা হবে । জেলেদের বিভিন্ন দাবি এবছর মেনে নেওয়া হয়েছে।
বরগুনায় নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে লক্ষাধিক জেলে থাকলেও ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২৭ হাজার ২৫০ জন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে পাবেন সরকার নির্ধারিত প্রণোদনার চাল।