26 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ৩ মাস বন্ধ ফেরি, জনভোগান্তি চরমে

আরও পড়ুন

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

নাব্যতা সংকট দেখিয়ে প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল। এটি কবে চালু হবে তার কোনো লক্ষণই নেই। ফলে সরকারের লোকসানের পাশাপাশি জনভোগান্তি চরমে উঠেছে।

এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় প্রতি মাসে সাড়ে ১২ লাখ টাকা গচ্ছা দিচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। পাশাপাশি ফেরির ইঞ্জিন ক্ষতির মুখে পড়ছে।

চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে রৌমারীর ফলুয়ার চর ঘাটের দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। এই নদীপথ পাড়ি দিতে নানা সংগ্রাম করতে হতো এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে সেই ফেরি গত তিন মাস ধরে বন্ধ।

দীর্ঘদিন ধরে ফেরি বন্ধ থাকায় রৌমারী ফেরিঘাট দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের বালু ভর্তি ট্রাক্টর, ডাম্পার যাতায়াত করায় ঘাটটি নষ্ট হয়ে গেছে। এরমধ্যে ফেরি বন্ধ থাকায় আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরেফেরা মানুষের ভোগান্তি এবং বাড়তি অর্থ নষ্ট হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের যানবাহনগুলো ১৫০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে। ফেরিটি রমনা ঘাট থেকে ফকিরেরহাট ঘাটে স্থানান্তর করা হলে অনেক কম সময়ে এ অঞ্চলের বাস, ট্রাক, ছোট গাড়িগুলো পারাপার করে অল্প সময়ে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। এতে যানবাহনের সময় এবং জ্বালানি খরচ অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়া নাইট নেভিগেশন (বাতি) ব্যবস্থা চালু থাকলে রাতে ফেরি চলা করা সম্ভব হবে বলে জানায় সূত্রটি।

ট্রাকচালক লোকমান হোসেন জানান, এই ঘাট (ফকিরেরহাট ঘাট) দিয়ে ফেরি চলাচল করলে রুটটি অনেক ছোট হতো ও দিবারাত্রি চলাচল করতে পারলে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, ছোটগাড়িগুলো এই রুট ব্যবহার করে ঢাকায় চলাচল করতো। এই রুটের সমস্যা সমাধান করলে এ ফেরি উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে।

বিআইডব্লিউটিসির চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ২৩ ডিসেম্বর নাব্যতা সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কদম এবং কুঞ্জলতা নামে দুটি ফেরি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা আছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নৌরুটের প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধান করে ফেরি চলাচলের নির্দেশনা এলে সঙ্গে সঙ্গেই সার্ভিস চালু করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক শেখ রবিউল ইসলাম বলেন, ওয়াটার লেভেল না বাড়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল করা সম্ভব নয়। কেননা প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে ফেরি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। তবে রৌমারীর ঘাট দিয়ে বালু যাওয়ার কারণে ঘাট নষ্ট হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর