25.2 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

সফল হয়নি রাঙ্গামাটির পাহাড়ি শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদান

আরও পড়ুন

মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বির, রাঙ্গামাটি::

রাঙ্গামাটির পাহাড়ি অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম এখনো নানা চ্যালেঞ্জের মুখে।

পাহাড়ি শিশুদের নিজস্ব ভাষায় প্রণিত পাঠ্যবই বিতরণ করা হলেও প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে থমকে আছে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে চালু হওয়া পাহাড়ি শিশুদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষাদান কার্যক্রম। প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে পাহাড়ি শিশুদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা গ্রহনের সব ব্যবস্থা।

২০১৭ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোাষ্ঠির শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই পরিকল্পনার আওতায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির নিজস্ব ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বই প্রণয়ন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের নিজস্ব ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদের শিখন প্রক্রিয়াকে সহজ করা। তবে এখনো এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হয়নি।

নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই রাঙ্গামাটির চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুরা তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যবই পেলেও,দক্ষ শিক্ষক সংকটের কারণে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

অভিভাবকরা বলছেন, তাদের সন্তানরা মাতৃভাষায় বই পেয়েছে, সেটা আনন্দের। কিন্তু স্কুলে যদি ভাষায় দক্ষ শিক্ষক না থাকে, তাহলে এই বইয়ের কী লাভ ।

মাতৃভাষায় পাঠদানের সক্ষমতা বাড়াতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কিছু শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিলেও কার্যত তা কাজে আসছেনা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের তথ্য মতে, ২০২৫ সালে রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ৪টি শ্রেণীতে ৩০ হাজার ৫শ৩৪ জন শীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৯ হাজার ২শ ১৯টি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঋষিকেশ শীল জানান , সরকার একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাঙ্গামাটির চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির যে শিশুরা রয়েছে তাদের নিজস্ব ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ দিতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের নিজস্ব ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার বই প্রণয়ন করছে। পাঠদানকে এগিয়ে নিতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা তিনটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ৪টি শ্রেণীতে বই বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে এ পাঠদান কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা চলছে। ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের নিজস্ব ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার উপর প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। ধীরে ধীরে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

পাহাড়ি শিশুরা যেন নিজেদের ভাষায় শিখতে পারে এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে মাতৃভাষা দিবসে এমন প্রত্যাশা সকলের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর