26 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়ার ৩ লক্ষ ডিম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

আরও পড়ুন

আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধি :

চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়ায় বালুয়া বাসুয়া চলনবিল গেট মোড়ে এলাকার সবচেয়ে বড় ডিমের হাট বসে। সপ্তাহে ২ দিন বসে এই হাট।প্রতি হাটে ৩ থেকে ৪ লক্ষ ডিম কেনাবেচা হয়। এ ডিম চলে যায় বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের প্রোটিনের বড় অংশ পূরণ করছে চলনবিলের ডিম।

প্রাণী সম্পদ অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে বালুয়া বাসুয়া মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল ওহাবের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে ডিমের হাট। সিংড়া পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের চলনবিলের প্রবেশ রাস্তায় এই হাট বসে। প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দুদিন হাট বসে। আস্তে আস্তে পরিধি বাড়তে থাকে হাটের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে ডিম কিনে নিয়ে যায় এখান থেকে।ডিমের পরিধি অনুযায়ী দাম ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা হালি বিক্রি হয়।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা এক ডিম ক্রেতা খালেক বলেন, আমি ৫ বছর ধরে ডিম কিনি এখান থেকে। ডিমের দাম বেশি। ক্রেতা, বিক্রেতা অনেক। হাঁসের খাবারের দাম বেশি হওয়ায় ডিমের দাম বেশি।

বগুড়া থেকে ডিম কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী রিফাত জানান, সিংড়ার এই ডিমের হাট দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়, এখানে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। ডিমের দামও বেশি। চলনবিলের হাসের ডিম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তাই ক্রেতারা বেশি দামেও কিনে।

আড়ৎদার আব্দুল জানান, আমার বাবার হাত ধরেই এই হাটের সূচনা হয়েছিল। এখন এটা উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় ডিমের হাট।

ডিমের আড়ৎদার খালিদ হাসান বলেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার এখানে ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত হাট বসে। চলনবিলের বিভিন্ন খামারিরা ডিম নিয়ে আসেন এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হয়। প্রতি হাটে ১ থেকে ২ লাখ ডিম আমদানি হয়।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, চলনবিলের ঐতিহ্য ডিমের বাজার। দেশি প্রজাতির ডিম এখানে পাওয়া যায়। হাটের সৌন্দর্যবর্ধনসহ কোনো সমস্যা থাকলে উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর