আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের সিংড়ায় শেরকোল ইউনিয়নের ৫ টি গ্রামের প্রায় ৫ শ একর জমি জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকরা কাঙ্খিত ফসল চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । এতে করে ৫ শতাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জায়গা দখল এবং জলাশয় ভরাট করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক মেয়র সহ কয়েকজন। যারা ইটভাটার রাস্তা করতে জলাশয় দখল
করেছেন। যারফলে লোকসানে পরেছেন শত শত কৃষক। এছাড়া কৃষি জমির পাশে এসব ইটভাটার কারনে কৃষি জমিও হুমকির মুখে পড়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন না হলে কৃষকদের কষ্টের সীমা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার আগপাড়া, পাঁচবাড়িয়া, মাঝপাড়া, মাদারীগ্রাম,খাগোরবাড়িয়া,নিওগির গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৫০০ একর জমি জলাবদ্ধতার শিকার। যার কারনে কৃষকরা আগে তিনটি ফসল পেলেও এখন কেউ ১ টি আর কেউবা ২টি করে ফসল পায়।
এই বিলে ইটভাটা রয়েছে সাবেক মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আদেশ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের
সদস্য লিটন আলী।
এছাড়া আশরাফুল ইসলাম ও আসাদ নামে দু-ব্যক্তির বিরুদ্ধে জলাশয় দখল করে দোকান নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরকোল ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা। ভাটার গাড়ি চলাচলের কারনে সড়ক ও জনপথের
জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। এতে করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি
হয়েছে। প্রতি বছর এসব বিলে ফসলের ফলন কমেছে।
স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম এর ছেলে বুলবুল সরকারী জলাশয় দখল করে দোকান নির্মান করার চেষ্টা করলে জনগন বাধা দেয়।
এসব এলাকার শত শত কৃষক কৃষির উপর নির্ভরশীল। এজন্য তারা জলাবদ্ধতার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম বরাবর আবেদন জানিয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, ইটভাটার কারনে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি
হয়েছে। আগে যেখানে বিঘা প্রতি ২০ মন ধান হতো এখন সে জমিতে ৫/৭ মনের বেশি ধান হয়না।আমরা আর্থিক ভাবে লোকসানের সম্মুখীন।
উপজেলা কৃষি অফিসার
খন্দকার ফরিদ বলেন, কৃষি প্রধান এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ফলন কমছে।কৃষকেরা আমাদের প্রান।জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষি বিভাগ সহায়তা করতে প্রস্তুত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, কৃষকদের অভিযোগ পেয়েছি। ইটভাটার মালিকদের বিষয়টি অবগত করে পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্মুক্ত করে দেবার জন্য তাগাদা দেয়া হবে।