25 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

চট্টগ্রামে সিএসডিএফ এর উদ্যোগে নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ ও রোকেয়া দিবস ২০২৪ উদযাপিত

আরও পড়ুন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি;

“নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংষতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিএসডিএফ) এর উদ্যোগে নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ইং নগরীর আইএসডিই মিলনায়তনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রিয় কার্যকরী পর্ষদের সহ-সভাপতি ও চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিএসডিএফ)’র চেয়ারপার্সন এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও স্টপ ভায়েলেন্স এগেইষ্ট ওমেন (এসভাউ) এর আহবায়ক জেসমিন সুলতানা পারু অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সিএসডিএফ’র সমন্বয়কারী শম্পা কে নাহার ও জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশনেন সবুজে যাত্রার নির্বাহী পরিচালক সায়েরা বেগম, সুফিয়া কামাল ফেলো ও মহানগর মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী সায়মা হক, সমতা মহিলা সমিতির সভানেত্রী মোমেনা আকতার নয়ন, অপরাজেয় বাংলাদেশ চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী জিনাত আরা বেগম, এসডিএস’র সভানেত্রী ফেরদৌসী বেগম মৌসুমী, মহিলা পরিষদ কালুরঘাট শাখার সভানেত্রী বেগম রুবি খান, সৌরিতা মহিলা সমিতির সভানেত্রী সঞ্চিতা বড়ুুয়া, নারী নেত্রী আয়েশা বেগম মাধবী, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া একটা সময় যেভাবে নারী শিক্ষা বিস্তারে পথে পথে ঘুরে ঘুরে নারী শিক্ষা প্রসারে কাজ করেছেন। ঠিক একই ভাবে চট্টগ্রামে সিএসডিএফ নারী নির্যাতন মুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্র প্রতিষ্ঠায় সামাজিক উদ্যোক্তা, নারী উদ্যোক্তা, সুফিয়া কামাল ফেলো, শিক্ষার্থী সহায়ক দল, কমিউনিটি রিসোর্স পার্সনগ্রুপসহ নানা ধরনের সমাজ পরিবর্তনকামী মানুষকে সমাজ পরিবর্তনের কাজে সম্পৃক্ত করে নারী নির্যাতন ও নারী অধিকারের পক্ষে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু এনজিও জেলা পর্যায়ে কিছু গোলটেবিল বৈঠক ও পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে কোনভাবে প্রকল্প শেষ করে নারী অধিকারের কাজগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ঘটনায় পরিনত করেছেন। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো সমাজকে। নারীরা প্রতিনিয়ত অধিকার বঞ্চিত ও নির্যাতিত হলেও প্রতকারে সুযোগ নেই। সেকারনে নারী নির্যাতন ও বঞ্চনার ঘটনা তারা আর প্রকাশ করছে না।

বক্তারা আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংগঠনের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। কিন্তু প্রতিনিয়তই নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ ও প্রতিকার করা হচ্ছে না। সেকারনে নির্যাতন নারীরা আগের মতোই সহায়হীন হয়ে যাচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ২০১০ এর আওতায় নারী নির্যাতনের জন্য মামলা হলেও নারীরা সত্যিকার অর্থে প্রতিকার পাচ্ছে না। আইনটি ভিন্নখাতে অপব্যবহার হচ্ছে ফলশ্রæতিতে নারী বৈবাহিক বিচ্ছেদের হার বাড়ছে। যা পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর। অথচ বিবাহ বিচ্ছেদের পরিবর্তে যদি কাউন্সেলিং করা গেলে অনেক গুলো পরিবারকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা যেতো।

বক্তারা নারী নির্যাতন সমাজের জন্য বিষ ফোড়া, একটি নারীর সংসার ভেংগে যাওয়া মানেই একটি পরিবারের অনেকগুলো মানুষের অস্থিত্ব হুমিকে পড়ার শামিল। আবার নারী হিসাবে মানুষ যদি বঞ্চনার শিকার হয় তাহলে সুস্থ ধারার সমাজ বিনির্মান সম্ভব নয়। তাই এই দুষ্ঠ ক্ষত অপসারণে সমাজের জাতিধর্ম বর্ন নিবিশেষে বিবেকবান সকল পর্যায়ের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর