তানভীর আহমেদ
এলাকা থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে জনতার হাতে ধরা পড়েন মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে মাইনউদ্দিন ও আসাদকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন জনতা। অভিযোগ উঠেছে পূর্বের একটি মামলায় আসাদকে গ্রেফতার দেখানো হলেও মাইনুদ্দিনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
তবে, পতেঙ্গা থানার তরফ থেকে মাইনুদ্দিনকে থানায় সোপর্দ করার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির আহমেদ বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ছেড়ে দেবার তথ্য সঠিক নয়। ‘
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে এই দুই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেবার সময় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও আব্দুর রহিম।
মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, ‘ মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদকে জনতা উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দুজনই মানিকছড়ির দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বলে জানতে পেরেছি। দুজনের নামেই থানায় মামলা রয়েছে। ‘
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহিম বলেন, ‘ মাইনুদ্দিনের কাছে টাকা নিয়ে সম্ভবত ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কারণ দুইজনকেই আমাদের সামনে থেকে পুলিশ নিয়ে যায়। একজনকে গ্রেফতার দেখানো হলো, অন্যজন থানা থেকে গায়েব। ‘
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইনুদ্দিনকে ধরার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে ভিডিও প্রচার করে জনতা। ভিডিও দেখে মানিকছড়ি বিএনপির নির্যাতিতদের অনেকেই থানায় যোগাযোগ করে। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির মাইনুদ্দিনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ‘
মানিকছড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন একই সাথে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য। ৫ই আগস্ট জনরোষ থেকে বাঁচতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদকে নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আস্তানা গাঁড়েন।
মানিকছড়ির রাজাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মীর হোসেন ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিনসহ ১৮১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন। এই মামলার ১নং আসামী আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশ থানা থেকে ছেড়ে দেবার পর এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়।