বরগুনা প্রতিনিধি
ডা. মো. মিজানুর রহমান, ডা. মো. মওকুল আহসান, ডা. মো. মোয়াজ্জাম হোসাইন, ডা. মো. ফয়সাল হোসেন, ডা. মো. কামরুন্নাহার ও ডা. মো. মিজানুর রহমান ফরাজী সাক্ষরিত বরগুনা জেলা প্রশাসক ও বরগুনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন কর্মরত শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের পরিশ্রমের ফলে ২০১০ ইং সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। কলেজের শুরুতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৪৫০/৫০০ পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী থাকলেও বর্তমানে ২০২৩/২৪ শিক্ষাবর্ষে তা ১৫০ থেকে ২০০ এর নিচে নেমে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেন না। প্রতি অর্থ বছরে একটি আয় ব্যায়ের মনগড়া হিসাব তৈরি করে নাম সর্বস্ব কোন অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করিয়ে সকল অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তার এ সকল দূর্নীতির কথা যাতে কেউ জানতে না পারে সেজন্য তার সকল অফিসিয়াল কাজকর্ম তার ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে করে থাকেন। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, ফরম পূরণ ফি, পরীক্ষার ফি, প্রবেশ পত্র ফি, ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থ ব্যাংক হিসেবে জমা রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও তা না মেনে সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের কাছে রাখেন।
তার সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমদকে বরখাস্ত করা হয় এবং ডা. মোঃ ফজলে এলাহী সৈকতকে মিথ্যা বানোয়াট ও অযৌক্তিক অভিযোগ এবং মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রতিবাদকারী অন্য একজন শিক্ষক ডা. মোঃ মকবুল আহসানকে বরখাস্ত করার জন্য মিথ্যা নারী গঠিত অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয় এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, যা তৎকালীন পুলিশ সুপারের তদন্ত প্রতিবেদনে নারীগঠিত অভিযোগটি মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক প্রমাণিত হয়েছে। তবুও আজ পর্যন্ত ডা. মো. মকবুল আহসানের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। অনুরূপভাবে ডা. মো. মিজানুর রহমান ও ডা. মো. কাওসার উদ্দিন কে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষক চিকিৎসককে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বা ভুল বুঝিয়ে তার পক্ষে মিথ্যা স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেছে এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।
এছাড়াও অধ্যক্ষের দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্য বোর্ড কর্তৃক প্রদেয় ইন্টার্নি ভাতা না দিয়ে উপরোক্ত ইন্টার্নি পাওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ৫০০০/৬০০০ টাকা ঘুষ আদায় করেছেন, ঘুষ না দিলে সনদ দেয়া হয় না। কিন্তু ঘুষ দিয়ে ইন্টার্নি না করলেও তাদেরকে সনদ দেয়া হয়।
এছাড়াও ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও কলেজের ফান্ড হতে শিক্ষকদের কোন বেতন ভাতা দেয়া হয় না, এমনকি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ যা কলেজের হিসেবে জমা হয় তাও এককালীন পরিশোধ করা হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে নিজের বেতন নেয়ার জন্য অধ্যক্ষকে কমিশন দিতে হয়। পরীক্ষার পরিতোষিক বিলের চেক জিম্মি করে শিক্ষকদের কাছ থেকে বোর্ড খরচের নামে কমিশন আদায় করা হয়।