25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

এস আলমের ছয় ব্যাংক ঋন দিতে পারবে না

আরও পড়ুন

নিউজ ডেস্ক

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামি ধারার ছয়টি ব্যাংক নতুন করে ঋণ দিতে পারবে না। এছাড়া ব্যাংকগুলো নতুন কোনো আমদানি এলসিও খুলতে পারবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কৃষি, চলতি মূলধন, এসএমই ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে পারবে। এর বেশি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতের ক্ষতগুলো বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন যেসব ব্যাংককে এত দিন অনৈতিক সুবিধা দিয়ে রক্ষা করা হচ্ছিল, এখন সেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এবার এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে পাচারের অভিযোগ রয়েছে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকিং খাতের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ব্যাকগুলো থেকে যেনো আর টাকা বের হতে না পারে। এই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টগুলো দ্রুত ফ্রিজ করা উচিত। এখন ব্যাংক চাইলে কি পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নীতি অনুসরণ করতে হবে। যেসব ব্যাংকগুলো এরইমধ্যে উল্টা–পাল্টা ঋণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে সেখানে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।’

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলো এখন চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সিআরআর ও এসএলআর বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের চলতি হিসাবেও বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির বলেন, ‘ব্যাংক খাতে যে এখনও যতেষ্ট সুশাসনের অভাব রয়েছে সেটা সত্যি। এবং এই সুশাসনের অভাবের কারণে এবং এই পরিচালনা পর্ষদের যে সমস্যাগুলো তারা যে ব্যাকগুলোকে দুর্বল হতে সাহায্য করেছে সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। সুতরাং পরিচালনা পর্ষদটা পুনরায় গঠন করা খুবই প্রয়োজন। এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তত ভালো।’

এর আগে, এস আলমের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা হিসাব তলব করে এনবিআর। তাদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর