নাদিরা শিমু :::
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় গুলিতে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন নিহতের মা জোসনা বেগম। রোববার রাতে এই মামলা করেন তিনি।
ওই মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাছান চৌধুরী নওফেল, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ ১০৮ জনকে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্যানেল মেয়র আবদুস ছবুর লিটন, এসরারুল হক এসরারুল, মোবারক আলী, হারুন অর রশীদ, মোরশেদুল আলম, নুর মোস্তফা টিনু, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আশরাফুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, জহুরলাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জিয়াউল হক সুমন, পুলক খাস্তগীর, নুরুল আলম মিয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আবদুস সালাম মাসুম, জাকারিয়া দস্তগীর, মো. ফিরোজ প্রমুখ।
আরো যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন নুরুল আজিম রনি, মো. ইসমাইল, মো. দেলোয়ার, এন. এইচ. মিন্টু, মোহন ঘোষ, মো. আলী, ভূবন ঘোষ, আরহাম খান, ইসমাইল উদ্দিন লিটন, দৌলত খান, এনামুল হক মানিক, নুর মোহাম্মদ, মো. সোহেল, নেজাম উদ্দিন, মো. আমজাদ হোসেন, ইরফানুল আলম তুষার, ইব্রাহিম খলিল, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নুর নবী সাহেদ, শহীদুল ইসলাম, সাগর দাস, জাহেদ হোসেন, জি. এম. তৌশিফ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, দেবাশীষ পাল দেবু, মো. জাবেদ, মহিউদ্দিন, মো. জাফর, মো. আলী (সাহেদ), মহিম আজম, দিদারুল আলম, মো. ইলিয়াছ, মো. আলী, মো. ইসহাক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, দিদারুল আলম মাসুম, মো. মাসুম, জিহান আলী খান, মহিউদ্দিন শাহ, মুজিবুর রহমান রাসেল, মোহাম্মদ রাশেদসহ আরও ১০৮ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গেল ১৬ জুলাই বিকেল তিনটা থেকে চারটার মধ্যে নিহত ওয়াসিম আকরাম পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিলেন। ওইসময়ে তার ওপর আসামিদের নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ও দেশিয় অস্ত্র এবং মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমাবেশে আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিমের বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মামলার বিষয়টি স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হয়নি পুলিশ।
নিহত আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং একই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ওয়াসিম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন।
নিহত ওয়াসিম আকরামের মামা মিশকাত উদ্দিন জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগের দিন নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় আকরমাকে এক দফা পিটিয়ে আহত করে। পরদিন মুরাদপুর এলাকায় নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।