বিশেষ প্রতিনিধি :::
চট্টগ্রামের এক সময়কার তুখোড় ছাত্রনেতা যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক আহবায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। গত ৫ ই মে ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তারিকুল হায়দার চৌধুরীকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অন্তভূক্ত করার বিষয়টি জানানো হয়।
আশির দশকে দেশে আওয়ামী রাজনীতির উত্তাল সময়ে যারা স্বৈরচার এরশার বিরোধী আন্দোলনের ভিত তৈরি করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন তাদের অন্যতম এ কে এম তারিকুল হায়দার চৌধুরী। স্বৈরাচার এরশাদের পতন হলেও ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দেশ ছেড়ে আমেরিকায় পালিয়ে যেতে হয়েছে দুই ডজন মামলা কাঁধে নিয়ে। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের হাল ধরেন তারিকুল হায়দার চৌধুরী । যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হবার পর থেকে তেরটি স্টেটে শক্তিশালী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তারিকুল হায়দার চৌধুরী সাথে ছাত্রলীগের সস্পৃক্ততা শৈশব থেকে। তারিকের ভাই এহসানুল হায়দার চৌধুরী বর্তমানে রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। নিজের পিতা একেএম হায়দার মিয়া চৌধুরীও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। জানালেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ড কিভাবে পুরো পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাড়ি থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী এহসানুল হায়দার চৌধুরীকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় প্রশাসন। নিখোঁজ বড় ভাই এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলের হদিস মেলেনি অন্তত আটমাস। দীর্ঘদিন কোন খোঁজ খবর না পাবার কারণে পরিবারের সদস্যরাও মনে করেছিলেন মেরে ফেলা হয়েছে তাকে।