ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হাওরবেষ্টিত ভাটি অঞ্চল গোয়ালনগর ইউনিয়ন। বর্ষাকালে যে এলাকা পানিতে ডুবে থাকে, সেই ইউনিয়নের মানুষ এখন পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর দুটি শাখা — চিকনদিয়া ও কাইঞ্জার খাল — প্রায় মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। পলি জমে খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৯ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ এখন বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শুষ্ক মৌসুম ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেচের পানির অভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা, দ্রুত খাল দুটি খনন না করা হলে আগাম বোরো মৌসুমে জমি আবাদ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। এতে উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওর এলাকায় দেখা দিতে পারে খাদ্যঘাটতি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ এক দশক ধরে পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে নদীর প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়েছে। এর ফলে পলি জমে ধীরে ধীরে চিকনদিয়া ও কাইঞ্জার খাল দুটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
চিকনদিয়া খালের ওপর নির্ভরশীল সোনাতলা, ঝামারবালি, কদমতলী, মাইজখলা, শিমারকান্দি ও লালুয়ারটুক গ্রামের কৃষকরা সেচের অভাবে দুশ্চিন্তায় আছেন। অন্যদিকে কাইঞ্জার খাল নির্ভর নোয়াগাঁও, মাছমা, গোয়ালনগর, দক্ষিণদিয়া ও আশানগর গ্রামের কৃষকরাও একই সংকটে ভুগছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ কাইঞ্জার খালের আওতায় নোয়াগাঁও, মাছমা, গোয়ালনগর, আশানগর, দক্ষিণদিয়া ও রামপুর গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়। অন্যদিকে চার কিলোমিটার দীর্ঘ চিকনদিয়া খাল ঘিরে সোনাতলা, ঝামারবালি, কদমতলী ও মাইজখলা গ্রামের প্রায় চার হাজার বিঘা জমি আবাদযোগ্য।
কৃষকরা জানিয়েছেন, খালগুলোতে এখন পানি না থাকায় সেচ ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ। সময়মতো খনন না হলে এ বছরের বোরো মৌসুম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
