গুলনাহার
বিআরটিসি’র ২৯৭ তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্ষদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জনাব মো. তাজুল ইসলাম।
সভায় আলোচনায় জনাব মো. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী (যুগ্মসচিব, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ) বলেন, আমরা আপনার সাথে তিন বছর আস্থার সাথে কাজ করে বিআরটিসি’কে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিতে পেরেছি। ফরিদা ইয়াসমিন (সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা) বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের সময়ে বিআরটিসিতে একটি গতি এসেছে, অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ (সভাপতি, মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব, বরিশাল) বলেন, এ পর্ষদ গঠিত হওয়ার পর বিআরটিসি গত তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। সাফকাত মঞ্জুর (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, রাজশাহী) বলেন, বিআরটিসি’র আরও সাফল্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে এখানে নিযুক্ত করেছেন। জেসমিন সুলতানা পারু (প্রধান নির্বাহী, ইলমা, চট্টগ্রাম) বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান স্যারের পরিচালনায় বিআরটিসি উত্তরোত্তর এগিয়ে যাচ্ছে। পর্ষদ সভার অন্যান্য সদস্যগণ বিআরটিসি’র ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উক্ত সভায় সভাপতি পর্ষদ সদস্যদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। আপনাদের সহযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি আর্থিক শৃঙ্খলায়। বিআরটিসি’র কর্মচারীদের অকুন্ঠ সমর্থনে বিআরটিসি এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতায় নগর পরিবহন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিআরটিসি’র বাস সার্ভিস, পর্যটক বাস সার্ভিস, বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শাটল বাস সার্ভিসসহ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়ায় পরিবহন সেবা চালু করা হয়েছে।’
সভার শুরুতেই আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন এসএম কামরুজ্জামান, পরিচালক (প্রশাসন), বিআরটিসি। বিআরটিসি’তে অপারেটর (চালক) গ্রেড-সি পদে নিয়োগের জন্য পাবলিক সার্ভিস ভেহিক্যাল (পিএসভি) শিথিলকরণ এবং কন্ডাক্টর-ডি (কাউন্টারম্যান) শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বিআরটিএ কর্তৃক কন্ডাক্টর লাইসেন্স ব্যতীত আবেদন গ্রহণসহ নিয়োগের অনুমতি প্রদান বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও গাড়ি মেরামতের ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান এবং আইসিডব্লিএস এর টায়ার (রিট্রেডিং প্ল্যান্ট) চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। কক্সবাজার, পটুয়াখালী (কুয়াকাটা) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও “বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন পাবলিক স্কুল” এর সংস্কার বাবদ অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে।
পরিশেষে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।