25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

ডেনিমের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়ছে

আরও পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) শীর্ষ ডেনিম সরবরাহকারী হওয়ায় বিশ্ববাজারে আরও বেশি রপ্তানির জন্য এই খাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি ডেনিমের চাহিদা বেড়েছে।

অ্যালাইড মার্কেট রিসার্চের তথ্যানুসারে, ২০২০ সালে ডেনিম জিন্সের মোট বাজার ছিল ৫ হাজার ৬২০ কোটি ডলার। কম্পাউন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ রেট (সিএজিআর) ফর্মুলা অনুযায়ী ৪ দশমিক ২ শতাংশ হারে বেড়ে ডেনিম জিন্সের বাজার ২০২১-২০৩০ সালের মধ্যে ৮ হাজার ৮১০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে। স্ট্যাটিস্টার পূর্বাভাস অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে ডেনিম জিন্সের বৈশ্বিক খুচরা বাজারের আকার হবে ৭ হাজার কোটি ডলার এবং মোট বাজারের পরিমাণ হবে ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে ডেনিম জিন্সের বৈশ্বিক বাজারের আকার ছিল ৭ হাজার ৭৬৭ কোটি ডলার। এ সংস্থার পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৩-২০৩০ সালের মধ্যে সিএজিআর ফর্মুলা অনুযায়ী ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে ডেনিম জিন্সের বৈশ্বিক বাজার বাড়বে।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ইইউয়ে শীর্ষ ডেনিম রপ্তানিকারক দেশ। এই অঞ্চলে প্রতি তিন জনের একজন বাংলাদেশে উৎপাদিত ডেনিম প্যান্ট পরেন।তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সাড়ে ৬৪ বিলিয়ন ডলারের ডেনিমের বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বর্তমানে স্থানীয় রপ্তানিকারকরা বিশ্বব্যাপী প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ডেনিম পণ্য সরবরাহ করছেন।

২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডেনিমের বাজার ৭৬ দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি বছরে চার দশমিক আট শতাংশ হারে বাড়বে।

স্থানীয় উদ্যোক্তারা ডেনিম খাতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। দেশে ইতোমধ্যে ৪২টি আধুনিক কারখানা আছে। এ থেকে প্রতি বছর ৯০ কোটি মিটারের বেশি ডেনিম কাপড় উৎপাদন সম্ভব।
প্রায় এক দশক আগেও ১২টি কারখানায় ডেনিম উৎপাদনে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল আট হাজার কোটি টাকা। তবে গত কয়েক বছরে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম সরবরাহে বাংলাদেশ প্রতিবেশী চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর