সাতকানিয়া প্রতিনিধি :::
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জরিমানা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রতিবেদকের হাতে আসা এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির সাক্ষরিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু রেজা নদভীর বিরুদ্ধে গত ১ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের আনীত অভিযোগ ও সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া ২ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি সহ চারটি অভিযোগের দুটির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানা দায়েরকৃত জিডি’র বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান বলে কমিটিকে অবগত করেছেন। তবে ঝাড়ু মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহনের বিষয়টি সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনায় সত্য প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং জিডির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে।
এছাড়াও ঝাড়ু মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দ্বাহ করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচনী আচরনবিধি আইনের লঙ্ঘন হয়েছে। সুতরাং এদিক বিবেচনায় তাকে জরিমানা ও সতর্ক করা যেতে পরে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও ঝাড়ু মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দ্বাহ করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচনী আচরনবিধি আইনের লঙ্ঘন হয়েছে। সুতরাং এদিক বিবেচনায় তাকে জরিমানা ও সতর্ক করা যেতে পরে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সকালে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মনোনয়ন জমা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব। একই দিন বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রতিবাদে তাকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কারের দাবিতে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় পৃথকভাবে তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপির সমর্থক ও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা।
পরে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব। এসময় তিনি এ ধরনের কার্যক্রমকে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন অভিযোগ করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার ঘোষনা দেন।
এর প্রেক্ষিতে গত ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোতালেব। অভিযোগে তার সমর্থকদের আটকে রাখা, তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল, তার ছবি যুক্ত ফেস্টুন এবং কুশপুত্তলিকা দাহ ও একটি সভায় নৌকার প্রর্থীর নানা প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া তাকে ও তার সমর্থকদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকির অভিযোগ এনে পরদিন ২ ডিসেম্বর সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মোতালেব।
মোতালেবের দেওয়া অভিযোগের তদন্ত শেষে পরদিন ৩ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির। তবে ১১দিন পর ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসে এই প্রতিবেদনের কপি।
নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর প্রেরন করা প্রতিবেদনে নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নদভীর বিরুদ্ধে আনীত চারটি অভিযোগের একটি প্রমানিত, একটি থানা পুলিশের হাতে তদন্তাধীন ও দুটি অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এইবাংলা /নাদিরা শিমু/Ns