নাদিরা শিমু, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ১৪ অবরোধকারীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে থানার সিটি গেটের কাছে সড়কের পাশ থেকে সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, সকালে অবরোধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে গাড়ি ভাঙচুর করছিল অভিযুক্তরা। এসময় তারা চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি- জামায়াতের ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে দুটি এবং সকালে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া সিটি গেইট এলাকায় পিকেটিং করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধা দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া রাস্তার মাথায় একটি মাইক্রো বাস পুড়িয়ে দেয় অবরোধকারীরা।
এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা ৩ দিন অবরোধের প্রথম দিনে চট্টগ্রামের রাজপথে সরব রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের কোথাও কোথাও মিছিল করতে দেখা যায়। বেলা সোয়া ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল হঠাৎ কাজির দেউরি মোড় এলাকা থেকে মহানগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনের দিকে যেতে থাকে। তবে মিছিলটি বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করেনি। কার্যালয়ের সামনের মোড় থেকে ঘুরে গিয়ে পুনরায় কাজির দেউরি গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
অবরোধকে কেন্দ্র করে সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় যান চলাচল কম। তবে অবরোধের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম থেকে যথা সময়ে ছেড়ে গেছে সবকটি ট্রেন। অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুই প্লাটুন করে মোট চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। একই দিন মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ করে জামায়াত। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া জামায়াতের কর্মসূচি শেষ হলেও বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশসহ নিহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। পরে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় জামায়াতও।